• ১৭ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ৪ঠা ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ইসকন ও চিন্ময়ের একাউন্টে পাওয়া ২৪০ কোটি টাকার উৎস কী?

দখিনের বার্তা
প্রকাশিত জানুয়ারি ৫, ২০২৫, ০০:২৮ পূর্বাহ্ণ
ইসকন ও চিন্ময়ের একাউন্টে পাওয়া ২৪০ কোটি টাকার উৎস কী?
সংবাদটি শেয়ার করুন....

ইসকনের বিতর্কিত নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ও তাঁর ব্যাংক লেনদেন নিয়ে সাম্প্রতিক ঘটনা নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দেশব্যাপী সংখ্যালঘুদের ওপর কথিত হামলার অভিযোগ করেন ইসকনের নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাস। তাঁর বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ আনা হয় তাঁর বিরুদ্ধে। বর্তমানে তিনি এ অভিযোগে গ্রেফতার হয়ে কারাগারে রয়েছেন।

ইসকনের ব্যাংক হিসাব নিয়ে আর্থিক গোয়েন্দা ইউনিট (বাংলাদেশ ফাইনান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট, বিএফআইইউ) একটি তদন্ত শুরু করেছে। সূত্রে জানা গেছে, ইসকনের নামে থাকা ২০২টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে প্রায় ২৩৬ কোটি ৪২ লাখ টাকা জমা ছিল। এর মধ্যে ২৯ নভেম্বর পর্যন্ত ২২৩ কোটি ৭৩ লাখ টাকা উত্তোলন করা হয়েছে, এবং হিসাবগুলোতে এখন প্রায় ১২ কোটি টাকা রয়েছে। এছাড়া চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে ৩ কোটি ৯২ লাখ টাকা জমা পাওয়া গিয়েছিল, যার বেশিরভাগই উত্তোলন করা হয়েছে।

এই অর্থের উৎস এবং জমাকারীদের পরিচয় সম্পর্কে প্রশ্ন উঠেছে। গোয়েন্দা সংস্থা এ বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে। ৩০ নভেম্বর, বিএফআইইউ ইসকন ও চিন্ময়ের সংশ্লিষ্ট ১৭ জনের ব্যাংক হিসাব ৩০ দিনের জন্য স্থগিত করার নির্দেশ দেয়।

এদিকে, চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের বিরুদ্ধে আরও বিতর্ক তৈরি হয় চট্টগ্রামে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার উপরে গেরুয়া পতাকা উত্তোলনের অভিযোগে। এ ঘটনার জেরে তাঁর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা দায়ের করা হয়। ২৭ নভেম্বর শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ডিবি পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে।

চিন্ময়ের আইনজীবী রবীন্দ্র ঘোষ জানিয়েছেন, তিনি তাঁর ক্লায়েন্টের পক্ষে লড়াইয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছেন, তবে নিজের শারীরিক সমস্যার কারণে কিছু বাধা সৃষ্টি হতে পারে। তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিন্ময়ের মামলায় হস্তক্ষেপের জন্য চিঠি লিখেছেন, তবে এর উত্তর এখনো পাওয়া যায়নি।

ইসকনের ব্যাংক লেনদেন এবং চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের আইনি পরিস্থিতি নিয়ে চলমান বিতর্ক দেশজুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। এই পরিস্থিতিতে তাঁর জামিন শুনানি এবং তদন্তের ফলাফলের দিকে সবার নজর রয়েছে।