ঢাকার কেরানীগঞ্জে মডেল সৈয়দা তানিয়া মাহবুব তিন্নি হত্যা মামলায় একমাত্র আসামি বরিশাল-২ আসনে সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক অভিকে খালাস দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার ঢাকার ২য় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মোছাঃ শাহীনুর আক্তার এ রায় ঘোষণা করবেন। রাষ্ট্র পক্ষের অতিরিক্ত পিপি সৈয়দ মোঃ আবু জাফর রিজবি এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন রায় পর্যালোচনা করে আপীলের বিষয়ে আমরা সিদ্ধান্ত নিবো।
আসামি পলাতক থাকায় রাষ্ট্র পক্ষে নিযুক্ত আইনজীবী শাহ ইলিয়াস রতন সাক্ষীদের জেরা করেন।
এর আগে ২০২১ সালের ২৬ অক্টোবর রায় ঘোষণার জন্য দিন ধার্য ছিল। ওইদিন ঢাকার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ কেশব রায় চৌধুরী রায় ঘোষণা না করে ১৫ নভেম্বর সাক্ষীর জন্য দিন ধার্য করেন।
জানা যায়, ২০০২ সালের ১০ নভেম্বর রাতে খুন হন তিন্নি। এর আগে ৬ নভেম্বর তিন্নিকে তার স্বামী সাক্কাত হোসেন পিয়ালের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করতে বাধ্য করেন অভি। তিন্নিও তাকে তালাক দেন। ওই দিনই পিয়ালকে তার দেড় বছর বয়সী কন্যাসন্তানসহ রাজধানীর বাড়ি থেকে বের করে দেয়া হয়। এরপর বিয়ে করার জন্য অভিকে চাপ দিতে থাকেন তিন্নি। একপর্যায়ে তিন্নি বিষয়টি সাংবাদিকদের কাছে ফাঁস করে দেয়ার হুমকি দেন। ১০ নভেম্বর রাতে মাথায় আঘাত করে তিন্নিকে হত্যা করা হয়। এরপর গুমের উদ্দেশ্যে ওই রাতে বুড়িগঙ্গার ১ নম্বর চীন মৈত্রী সেতুর ওপর থেকে নদীতে ফেলে দেয়া হয় লাশ। কিন্তু পানিতে নয়, লাশটি পড়ে পিলারের উচুঁ অংশে। পরদিন সকালে লাশ ঘিরে জমে উৎসুক জনতার ভিড়। এরপর কেরানীগঞ্জ থানার থানার এএসআই মো. শফি উদ্দিন অজ্ঞাতনামা দুর্বৃত্তদের আসামি করে মামলা করে। মামলাটি চাঞ্চল্যকর মামলা হিসেবে ২০০২ সালের ২৪ নভেম্বর তদন্তভার সিআইডিতে ন্যস্ত হয়। এরপর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডি পুলিশের এএসপি মোজাম্মেল হক আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এছাড়াও এই মামলায় ২২টি আলামত জব্দ করা হয়। ২০১০ সালের ১৪ জুলাই একই আদালত আসামি অভির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। অভিযোগপত্রভূক্ত ৪১ জন সাক্ষীর মধ্যে ২৬ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন আদালত।