নিজস্ব প্রতিবেদক:
সরকারি বই ভাঙ্গারী দোকানে ক্রয়-বিক্রয়ের সংবাদে ঘটনাস্থলে গিয়ে বিপাকে পরেছেন এক ইউএনও। ঘটনাটি বরিশালের গৌরনদী পৌরসভার কাসেমাবাদ হেলিপ্যাড সংলগ্ন এলাকার।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, গত বৃহস্পতিবার (৫ জুন) সন্ধ্যায় উপজেলার পিঙ্গলাকাঠী এলাকার ভাঙ্গারি ব্যবসায়ী সুজন বেপারী সরকারি বিনামূল্যে বিতরণযোগ্য শতাধিক নতুন পাঠ্যবই ভ্যান চালক শফিকুলের মাধ্যমে উপজেলার কাসেমাবাদ হেলিপ্যাড সংলগ্ন মেসার্স মদিনা স্টোর নামের মজিবর বেপারীর ভাঙ্গারি দোকানে পৌঁছে দিতে আসেন। এসময় স্থানীয়রা তাকে (শফিকুল) আটক করে পুলিশ, সংবাদকর্মী ও ইউএনও কে খবর দেয়। খবর পেয়ে রাত সাড়ে নয়টার দিকে ঘটনাস্থলে আসেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার রিফাত আরা মৌরি। বিষয়টি মোবাইল কোর্টের তফসিলভুক্ত না হওয়ায় ঘটনার সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা দায়ের করা হবে জানিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন ইউএনও।
গৌরনদী উপজেলা নির্বাহী অফিসার রিফাত আরা মৌরি জানিয়েছেন, আইনের বাইরে গিয়ে আমাদের কাজ করার সুযোগ নেই। এক্ষেত্রে কয়েকজন সাংবাদিক ভাইয়েরা ঘটনার সাথে আমাকে জড়িয়ে সংবাদ পরিবেশন করেছে। সেখানে আমার বিরুদ্ধে স্বজনপ্রীতি সহ কয়েকটি তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে, যা সঠিক নয়। এখানো আমার কোন আত্মীয়-স্বজন নেই। কারো প্রভাবে কাউকে মামলা থেকে বাদ দিতে কিংবা মামলায় কাউকে অন্তর্ভুক্ত করতে আমি পুলিশকে কোন ধরনের নির্দেশনা প্রদান করিনি। নিয়মিত মামলা দেওয়া পুলিশের কাজ। এধরণের নিয়মিত মামলায় আইনগত ভাবে ইউএনও’র হস্তক্ষেপ করার কোন সুযোগ নেই। মামলাটির বিষয়ে পরবর্তী কার্যক্রম পুলিশ ও আদালত কর্তৃক নিষ্পত্তি হবে।
মামলার বাদী ইসলামি ফাউন্ডেশনের সুপারভাইজার মোয়াজ্জেম হোসেন জানিয়েছেন, প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ যাদের বিরুদ্ধে সংশ্লিস্টতা পেয়েছে মামলায় তাদেরকে আসামী করা হয়েছে। এক্ষেত্রে উপজেলা প্রশাসন কিংবা আমরা কাউকে হয়রানির জন্য মামলায় আসামী করিনি।
গৌরনদী মডেল থানার ওসি (তদন্ত) মোঃ মাহবুবুর রহমান বলেন, প্রাথমিক তদন্তে জড়িতদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। এরইমধ্যে দুই আসামীকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে। তদন্তে অন্য কারো নাম উঠে আসলে তাকেও আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।