বরিশাল নগরীর ৩০ নং ওয়ার্ডের কাশিপুর চৌমাথার পচ্শিম চৌহটা এলাকার মাদক সম্রাট চডা রাছেলের মাদক ব্যবসা। এলাকাবাসীর অভিযোগ, চডা রাছেল দক্ষিণাঞ্চালের মাদকসম্রাট হীরা মাঝির বরিশালের এজেন্ট একাধিক বার বিপুল পরিমান মাদক সহ আটক হয় আবার বের হয়ে সে সবাইকে ম্যানেজ করে মাদক বিক্রি করে।
চডা রাছেলের সহযোগীদের মধ্যে রয়েছে তার আপন ছোট ভাই মিলন, জামান, মাসুদ তালুকদার, লাল মিয়া, রং সুমন এবং মোস্তফা। মাদক সম্রাট চডা রাছেলের জমজমাট মাদক ব্যবসার কারণে কাশিপুরে হাত বাড়ালেই মিলছে গাঁজা, ফেনসিডিল, হেরোইন, ইয়াবা।
এলাকায় মাদক বিক্রি হওয়াটা এখন স্বাভাবিক বলে মনে করে অনেকেই। এ ব্যাপারে কোনো রাখঢাকও নেই। সন্ধ্যার পর থেকে রাস্তাঘাটে পাড়া মহল্লায় মাদক ঘুরে ঘুরে বিক্রি করছে এমন অভিযোগ করেন অনেকে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, চক্রের মাদক ব্যবসার শেল্টারদাতা নাকি অনেক আওয়ামীলীগের প্রভাবশালী নেতারা ছিলো সরকার পতনের পর তারা এলাকা ছাড়া হলেও বিএনপি নেতাদের নামও বলছেন অনেকে।
এ সকল প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় চক্রটি নিরাপদে ও নির্বিঘ্নে মাদক বিক্রি করে থাকেন।
এ ব্যাপারে বরিশাল মহনগর গোয়েন্দা শাখার ওসি ছগির হোসেন জানান, চডা রাছেল আমাদের উপস্হিতি টের পেয়ে পালিয়ে যায়। তাকে ধরার জন্য অভিযান অব্যাহত আছে। এ বিষয়ে এয়ারপোর্ট থানার অফিসার ইনচার্জ জাকির সিকদকর জানান মাদকের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে কোন মাদক ব্যাবসায়ী ছাড় পাবেনা। এ বিষয় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণের সহকারী পরিচালক এনায়েত রহমান বলেন চডা রাছেল কে এর আগে একাধিক বার বিপুল পরিমান মাদক সহ আটক করেছি। মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।