পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে বিএনপির আয়োজিত ইফতার মাহফিলের মঞ্চে উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও দেউলী সুবিদখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আনোয়ার হোসেন খানের উপস্থিতি নিয়ে এলাকায় ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়েছে।
বুধবার (১২ মার্চ) বিকেলে উপজেলার ঈদগাহ মাঠে ১, ২ ও ৩ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির উদ্যোগে ইফতার মাহফিল ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. সাহাবুদ্দিন নান্নু। প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা বিএনপির সদস্য সচিব স্নেহাংশু সরকার কুট্রি, বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা বিএনপির অন্যতম সদস্য মোশতাক আহমেদ পিনু ও জেলা যুবদলের সভাপতি মনিরুল ইসলাম লিটন।
তবে আলোচনা সভার সময় মঞ্চের পেছনের সারিতে আওয়ামী লীগ নেতা মো. আনোয়ার হোসেন খানকে বসে থাকতে দেখা যায়, যা নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে।
বিভিন্ন পক্ষের প্রতিক্রিয়া
এ বিষয়ে মির্জাগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর আলম ফরাজি বলেন, ‘বিএনপির অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের শীর্ষস্থানীয় নেতা ও নৌকা প্রতীকের নির্বাচিত চেয়ারম্যানের উপস্থিতি কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। স্থানীয় নেতারা আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের চেষ্টা করছে। বিষয়টি দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে জানানো হবে।’
অন্যদিকে, এ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ নেতা মো. আনোয়ার হোসেন খান বলেন, ‘উপজেলা পরিষদের সবাইকে মিলাদ মাহফিলে দাওয়াত দেওয়া হয়েছিল, সেই হিসেবে আমি গিয়েছি। না গেলেও কথা উঠত। আমার অবস্থান ছিল মূল মঞ্চ থেকে ১০ ফুট দূরে। এখন অনেকে বলছে, কেন গেছি, আবার না গেলেও সমালোচনা হতো।’
তবে উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. সাহাবুদ্দিন নান্নু জানিয়েছেন, ‘উনি আমাদের আমন্ত্রিত অতিথি ছিলেন না। কে বা কারা তাকে সেখানে এনেছে, তা খোঁজ নিয়ে দেখা হচ্ছে।’
ঘটনাটি এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে এবং রাজনৈতিক মহলে এ নিয়ে নানা আলোচনা চলছে।