প্রধান শিক্ষকের অভিযোগ, তাকে দুই দফায় মারধরের নেতৃত্ব দিয়েছেন বিদ্যালয়ের তিন সহকারী শিক্ষক শিব শংকর দাস, মুশফিকা জাহান ও নূপুরসহ একটি চক্র। এই তিন ব্যক্তিসহ চারজনের নাম উল্লেখ করে বাউফল থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন তিনি। বর্তমানে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
লিখিত অভিযোগ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে প্রধান শিক্ষক পারভীন বেগমকে পদত্যাগের জন্য চাপ দিচ্ছিল একটি চক্র। পদত্যাগ না করায় ১৯ আগস্ট তিন শিক্ষকের নেতৃত্বে ১৫-২০ জন বহিরাগত প্রধান শিক্ষকের কার্যালয়ে ঢুকে তাঁকে পদত্যাগ করতে বল প্রয়োগ করে। তখন তাঁকে মারধর করে আহত করা হয়। তারা একাধিক সাদা কাগজে সই নিয়ে প্রধান শিক্ষককে বের করে দিয়ে কার্যালয়ে তালা লাগিয়ে দেয়। গত দুই মাস প্রধান শিক্ষক হাজিরা খাতায় সই করতে পারেননি।
মঙ্গলবার প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয়ে গেলে তিন সহকারী শিক্ষকের নেতৃত্বে আবার মারধর করা হয়। খবর পেয়ে তাঁর স্বামী ও মেয়ে এসে তাঁকে উদ্ধার করে।
এ বিষয়ে সহকারী শিক্ষক শিব শংকর ও মুশফিকা জাহান জানান, সব অভিযোগ মিথ্যা ও বানোয়াট। তারা প্রধান শিক্ষককে মারধর করেননি। হয়রানি করার জন্য তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে।
বাউফল থানার ওসি মো. কামাল হোসেন বলেন, ‘লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।