• ১৭ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ৪ঠা ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পুলিশ পরিচয়ে চাঁদাবাজি, স্বেচ্ছাসেবক, ছাত্রদলের ২ নেতাসহ নয় জন গ্রেপ্তার

দখিনের বার্তা
প্রকাশিত ডিসেম্বর ৩০, ২০২৪, ২২:৪৮ অপরাহ্ণ
পুলিশ পরিচয়ে চাঁদাবাজি, স্বেচ্ছাসেবক, ছাত্রদলের ২ নেতাসহ নয় জন গ্রেপ্তার
সংবাদটি শেয়ার করুন....

মহাসড়কে ব্যারিকেড দিয়ে মাছ বোঝাই মিনি পিকআপ আটকে পুলিশ পরিচয় দিয়ে চাদাঁবাজিকালে টিয়াখালী ইউনিয়ন ছাত্রদল সভাপতি মোঃ ইমরান (২৮) ও ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক জুয়েল রানাসহ (৩২) নয় জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত অন্যরা হলেন, তাদের সহযোগী সাকিল গোলাম রাব্বি (২২), মোঃ রনি (১৯), মোঃ সোহান (২৫), নুরুজ্জামান (৩৫), ননী ঘোষ (২৫), আব্দুল্লাহ আল নোমান (২৪), ইমন শিকদার (২৫)।

কলাপাড়া-পটুয়াখালী মহাসড়কের রজপাড়া বিশকানি এলাকা থেকে কলাপাড়া থানা পুলিশ রবিবার দিবাগত রাত সাড়ে তিনটায় এদের গ্রেপ্তার করে। এ সময় পিকআপে থাকা অন্তত ১৫ মণ শাপলা পাতা মাছ এবং চাঁদাবাজদের ব্যবহৃত প্রাইভেট কার জব্দ করা হয়।

এ ঘটনায় কলাপাড়া থানায় মামলা করা হয়েছে। কলাপাড়া থানার ওসি মোহাম্মদ জুয়েল ইসলাম এ খবর নিশ্চিত করেছেন। আসামিদের সোমবার আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। জব্দ করা শাপলা পাতা মাছ মাটিতে পুতে নষ্ট করার জন্য বন-কর্মকর্তাদের মাধ্যমে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

জানা গেছে, মহিপুর থেকে মাছ বোঝাই পিকআপটি বরিশাল যাচ্ছিল। মহাসড়কের রজপাড়া এলাকায় পৌছালে আসামিরা জুয়েল রানা ও ইমরানের নেতৃত্বে প্রাইভেট কার, অটো ও হোন্ডা দিয়ে ব্যারিকেড দেয়।

পুলিশের পরিচয় দিয়ে গাড়ির কাগজপত্র, মাছের চালান দেখতে চায়। মাছ অবৈধ দাবি করে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করা হয়। টাকা না দেওয়ায় পিকআপের চালক রিয়াজ ও লাইনম্যান রাব্বিকে বেধড়ক মারপিট করে। এসময় মাছের মালিক ব্যবসায়ী ছগির খলিফার কাছে মোবাইলে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে জুয়েল রানা। এ সময় অন্তত ৫০ হাজার টাকার মাছ লুটে নেওয়া হয়। এরই মধ্যে ঘটনাস্থলে টহল পুলিশ পৌছলে তারা হস্তক্ষেপ করেন। গ্রেপ্তার করা হয় আসামিদের।

উল্লেখ্য স্বেচ্ছাসেবকদল নেতা জুয়েল রানা ও ছাত্রদল নেতা ইমরানের নেতৃত্বে সশস্ত্র একটি সন্ত্রাসী দল কলাপাড়া-আমতলী কুয়াকাটা মহাসড়কসহ বিভিন্ন স্থানে ছিনতাই, রাহাজানি ও চাঁদাবাজি করে আসছে বলে পুলিশ নিশ্চিত হয়েছে।