বরিশালে অবৈধ ঝাটকা পাচার সহজ করনের জন্য গণমাধ্যম কর্মীদের নামে মিথ্যা অভিযোগ
বরিশাল চরবাড়িয়া লাগোয়া তালতলি বাজার দিয়ে প্রতিবছর পাচার হয় শত কোটি টাকার ঝাটকা ইলিশ।স্থানীয় প্রশাসন ও কিছু অসাধু কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করেই পাচার করে তালতলির আড়ৎদাররা।
বিগত বছর গুলো আ’লীগের প্রভাব খাটিয়ে একটি চক্র পাচার করেছে শত শতকোটি টাকার ঝাটকা ইলিশ।প্রতিবছরের ন্যায় এবারও এই বাহিনী সদর উপজেলার চরবাড়িয়া ইউনিয়নের বাজার থেকে মৎস্য সম্পদ রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে পাচারের তোড়জোড় চালিয়ে যাচ্ছে।
আর তাতে সোচ্চার হয়ে উঠেছে স্থানীয় সচেতন জনসাধারণ তারা বলেন বিগত দিন এই অবৈধ ঝাটাকা পাচার করেছে এবার তা করতে পারবে না দেশের সম্পদ ধ্বংস করতে আর দেবেনা মর্মে জানান তারা।
কিন্তু অবৈধ মৎস্য ব্যবসায়ীরা ব্যবসা বন্ধ না করে বিভিন্ন পন্তা অবলম্বন করতেছে।এই অবৈধ মাছ পাচার সহজ করতে প্রথমে মিডিয়া ও স্থানীয় প্রশাসন ম্যানেজ করতে চেষ্টা করেলেও তাদের ম্যানেজ করতে না পেরে প্রসাশনের বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দিয়েছে ছিনতাইয়ের।
বরিশাল জেলা মৎস্য অফিস কর্মকর্তা ২২ ফেব্রুয়ারি রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তালতলি বাজারে অভিযান পরিচালনা করে বিপুল পরিমানে অবৈধ বাঁধা জালের ঝাটকাসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ আটক করে।তারপর সেখানকার আড়ৎদার মোশারোফের তোপের মূখে পড়তে হয় মৎস্য কর্মকর্তাসহ গন মাধ্যম কর্মীদের।এসব অবৈধ বাঁধা জালের মাছ আটক হলে মাছ ছাড়াতে বিএনপির এক শীর্ষ পর্যায়ের নেতা দিয়ে সুপারিশ করেন।কিন্তু গণমাধ্যম কর্মীদের উপস্থিতিতে এই অবৈধ মাছ ছাড়তে অপরাগতা জানান মৎস্য কর্মকর্তা।
মাছ আটকের খবর বিভিন্ন পত্রিকা ও ইলেন্টনিক্স মিডিয়াতে প্রকাশ পেলে ক্ষুব্ধ হয়ে অবৈধ মৎস্য ব্যবসায়ীরা মোশারফ হোসেনকে দিয়ে প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছেন।যাতে সামনে কেউ ভয়ে মৎস্য কর্মকর্তাদের সাথে অভিযানে না আসে।
এরপর থেকে তালতলির অবৈধ মাছ ব্যবসায়ীরা গনমাধ্যমকর্মীদের নামে বিভিন্ন প্রশাসনের দপ্তরে অভিযোগ করে ছিনতাইয়ের তবে মৎস্য কর্মকর্তার অভিযানে মাছ আটকের একটি লাইভ ভিডিও গণমাধ্যম কর্মীদের হাতে আছে যেখানে দেখা যাচ্ছে বরিশাল জেলা মৎস্য অফিসের বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা এই অভিযান পরিচালনা করে বিপুল পরিমানে অবৈধ মাছ আটক করেছ।
স্থানীয়রা জানান অবৈধ ঝাটকা পাচার করার লক্ষ্যে তালতলির ব্যবসায়ীরা মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে নির্বিগ্নে ঝাটকা পাচারের জন্য এমন কাজ করতেছে।