নলছিটিতে সাংবাদিককে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা, মামলায় ১০ দিন পার হলেও গ্রেফতার হয়নি কেউ
সংবাদ প্রকাশের জেরে ঝালকাঠির নলছিটিতে খান মাইনউদ্দিন (৪০) নামে এক সাংবাদিককে কুপিয়ে হত্যাচেষ্টা ঘটনায় গত ২৭ জুন থানায় মামলা হয়েছে। মামলার পর ১০ দিন পেরিয়ে গেলেও কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
উল্টো মামলা তুলে নিতে মামলার বাদি ওই সাংবাদিকের স্ত্রী তানজিলাকে হুমকি-ধমকি দিচ্ছে আসামিরা। এ ঘটনায় তিনি ৪ জুলাই নলছিটি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন।
সাংবাদিক খান মাইনউদ্দিন দৈনিক বাংলাদেশ বুলেটিন পত্রিকার বরিশাল ব্যুরো প্রধান ও আঞ্চলিক দৈনিক দখিনের কণ্ঠ পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার হিসেবে কর্মরত।
এদিকে মামলার কোন আসামি গ্রেফতার না করায় স্থানীয় সাংবাদিকদের মধ্যে হতাশা ও ক্ষোভ বিরাজ করছে।
এরআগে গত ২৪ জুন রাত ৯টার দিকে উপজেলার দপদপিয়া ইউনিয়নের জুরকাঠি গ্রামে সাংবাদিক খান মাইনউদ্দিনকে নিজ বাড়িতে হত্যার উদ্দেশ্যে কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করার পর খালে ফেলে দেয় আসামিরা। এ ঘটনার পর গত ২৭ জুন সাংবাদিক খান মাইনউদ্দিনের স্ত্রী তানজিলা আক্তার বাদি হয়ে নলছিটি থানায় একটি হত্যাচেষ্টা মামলা দায়ের করেন। মামলার ১০ দিন পেরিয়ে গেলেও রহস্যজনক কারণে পুলিশ এজাহারভুক্ত আসামিদের কাউকেই গ্রেফতার করছে না।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, নলছিটির দপদপিয়া ইউনিয়নের উত্তর জুরকাঠি গ্রামের সরকারি অর্থায়নে নির্মিত একটি কালভার্ট কাঠের গেট বানিয়ে বন্ধ করে রাখার ঘটনায় সংবাদ প্রকাশ করেন সাংবাদিক খান মাইনউদ্দিন। সংবাদ প্রকাশের পর ওই এলাকার আবু হোসেন, তার ছেলে ইমরান হাওলাদার, রিয়াজ হাওলাদার, মুসা হাওলাদারের ছেলে ইব্রাহিম হাওলাদার, হাবিব সিকদারের ছেলে নিশাত সিকদার, আলম হাওলাদার, সানি হাওলাদারসহ ৭/৮জন লোক রামদা, চাপাতি, ছুরি, লোহার রড, হাতুড়ি নিয়ে সাংবাদিক খান মাইনউদ্দিনের বাড়িতে ঢুকে তার ওপর হামলা চালান। তাকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করতে অজ্ঞান অবস্থায় পার্শ্ববর্তী খালে ফেলে দেন। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে ভর্তি করেন।
নলছিটি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুস সালাম বলেন, এখনো কাউকে গ্রেফতার করা যায়নি। আসামিদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।