নগরী সংলগ্ন কীর্তনখোলা নদীর ওপর নির্মিত দপদপিয়া সেতু দিয়ে প্রতিনিয়ত ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে ভারি যানবাহন। ১৪ বছর পূর্বে যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া এ সেতুর চরকাউয়া অংশের লোহার পাত খুলে নিয়েছে দুর্বৃত্তরা। যেকারণে এখন ওই এলাকা দিয়ে যানবাহন চলাচল করছে ঝুঁকি নিয়ে।
যানবাহনের চালকরা বলছেন, লোহার পাত খুলে নেয়ার স্থানটি ফাঁকা হয়ে থাকায় যেকোন সময় যানবাহনের চাকা আটকে গেলে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে। একাধিক পরিবহন চালকেরা জানিয়েছেন, বিগত ছয়মাস যাবত এ অবস্থায় তাদের সেতু দিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে।
লোহার এই পাত দ্রত স্থাপন করা না হলে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে। সরেজমিনে দেখা গেছে, সেতুর দুই স্পানের মাঝখানে থাকা লোহার পাত খুলে নেয়ার কারণে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
সড়ক ও জনপথ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ২০১১ সালের ২২ ফেব্রæয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে দপদপিয়া সেতুর উদ্বোধণ করা হয়। প্রায় ২০৮ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ১.৩৯ কিলোমিটার দীর্ঘ এ সেতু দিয়ে প্রতিদিন ঢাকা-বরিশাল-কুয়াকাটা মহাসড়কে হাজারো ভারি যানবাহন চলাচল করছে।
সড়ক ও জনপথ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, রাজধানী ঢাকা থেকে সাগরকন্যা কুয়াকাটা, পটুয়াখালী, বরগুনা, ভোলাসহ দক্ষিণাঞ্চলের কোটি মানুষের সহজ যাতায়াতের জন্য ২০০৬ সালের অক্টোবর মাসে সেতুর নির্মান কাজ শুরু করা হয়। ২০১০ সালের ডিসেম্বর মাসে পুরো কাজ সম্পন্নের পর ২০১১ সালের ২২ ফেব্রæয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে সেতুর উদ্বোধণ করা হয়। শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাতের নামে নামকরন করা এই সেতুটি চলতি বছরের ২৪ ফেব্রয়ারি অন্তবর্তীকালীন সরকার নাম পরিবর্তন করে দপদপিয়া সেতু নামকরণ করেন।
বরিশাল নদী-খাল বাঁচাও আন্দোলন কমিটির সদস্য সচিব কাজী এনায়েত হোসেন শিপলু বলেন, সেতুর নিচে কোনো সঙ্কেত বাতি নেই। এ অবস্থায় রাতে জাহাজের ধাক্কায় সেতুটি বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের বরিশাল সার্কেলের তত্ত¡াবধায়ক প্রকৌশলী মো. মাসুদ খান বলেন, সেতুর দুই স্পানের মাঝখানের লোহার পাত খোয়া যাওয়ার বিষয়টি আমার জানা ছিলোনা। কারণ এটা একটি জটিল পয়েন্ট। এছাড়া সেতুর নিচে সঙ্কেত বাতি না থাকার বিষয়টিও আমাকে কেউ কখনও অবহিত করেননি। সরেজমিন পরিদর্শন করে উভয় বিষয়ে দ্রত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।