• ১৭ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ৪ঠা ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পটুয়াখালীতে ধানক্ষেত থেকে বিষধর শঙ্খিনী সাপ উদ্ধার

দখিনের বার্তা
প্রকাশিত ডিসেম্বর ২২, ২০২৪, ১৬:৪৯ অপরাহ্ণ
পটুয়াখালীতে ধানক্ষেত থেকে বিষধর শঙ্খিনী সাপ উদ্ধার
সংবাদটি শেয়ার করুন....

 পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় একটি বিষধর শঙ্খিনী সাপ উদ্ধার করা হয়েছে। অ্যানিমেল লাভার্স অব পটুয়াখালীর সদস্যরা সাপটি উদ্ধার করেন। আজ রোববার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার নীলগঞ্জ ইউনিয়নের মজিদপুর গ্রামের একটি ধানক্ষেতের জালে পেঁচানো অবস্থায় সাপটি উদ্ধার করা হয়। এটি স্থানীয়দের কাছে দু’মুখো সাপ নামেও পরিচিত।

বন্যপ্রাণী নিয়ে কাজ করা অ্যানিমেল লাভার্স অব পটুয়াখালীর উদ্ধারকর্মী মাসুদ হাসান বলেন, ‘সকাল সাড়ে ৯টার দিকে আমাদের ফোনে একটি কল আসে, খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি কালোর মধ্যে হলুদ ডোরা এ সাপটি ধানক্ষেতে কৃষকের জালে আটকা পড়ে আছে। এটি তীব্র বিষধর শঙ্খিনী সাপ, লম্বায় ৪ ফুট হবে। আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে সাপটিকে উদ্ধার করে প্রাকৃতিক পরিবেশে অবমুক্ত করি।’

মজিদপুর গ্রামের কৃষক কাজেম আলী বলেন, ‘আমার বাড়ির পাশের ধানক্ষেতের জালে সাপটি আটকা পড়ে। আমরা স্থানীয়রা সাপটি মেরে ফেলতে চেয়েছিলাম। কিন্তু বন্যপ্রাণী নিয়ে কাজ করা সদস্যরা এসে সাপটি উদ্ধার করে। এটি একটি উপকারী সাপ এবং একে মারা যাবে না বলে আমাদের জানায়।’

অ্যানিমেল লাভার্স অব পটুয়াখালীর টিম লিডার রাকায়েত আহসান জানান, শঙ্খিনী সাপ মূলত শান্ত ও লাজুক স্বভাবের। সাধারণত এসব সাপ মানুষদের এড়িয়ে চলে। এমনকি বিরক্ত করলে শরীর পেঁচিয়ে মাথা শরীরের নিচে লুকিয়ে রাখে। মানুষের জন্য এই সাপ মোটেও হুমকি স্বরূপ নয়। তবে শিকার করে বেশ দ্রুত। অন্য বিষাক্ত সাপ খেয়ে সাবাড় করে।

রাকায়েত আহসান আরও জানান, সাপটি উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে প্রাকৃতিক পরিবেশে অবমুক্ত করা হয়েছে। চলতি বছর উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে বেশ কয়েকটি এ জাতীয় সাপ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানান তিনি।