নিজস্ব প্রতিবেদক //
পটুয়াখালী সদরের সাব-রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ ফারুকের জন্ম ১৯৬৮ সালের ২৫ মে। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ শুরুর সময় তার বয়স ছিল মাত্র ২ বছর ১০ মাস। ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সাব-রেজিস্ট্রার ও জেলা রেজিস্ট্রার এখনও দাপটের সঙ্গে বহাল থেকে দুর্নীতির মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা আয় করছেন। রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে বয়স নির্ধারণ করা সাড়ে ১২ বছরের কম বয়সি মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিলেও ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়ে গেছেন তারা। এমনকি দুর্নীতির মাধ্যমে প্রচুর অর্থ সম্পদের মালিক প্রভাবশালী এই কর্মকর্তারা পদায়ন বাগিয়েছেন ঢাকাসহ দেশের গুরুত্বপূর্ণ অফিসগুলোতে। মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে অন্যদের চেয়ে এক বছর বেশি চাকরি করার সুবিধাও ভোগ করছেন তারা।
মুজিবনগর সরকারের কর্মচারী হিসেবে মধ্য বয়সে সাব-রেজিস্ট্রার হিসেবে চাকরি পাওয়ার পর রাতারাতি কোটিপতি হওয়ার লক্ষ্যে দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েন বলে নিবন্ধন অধিদফতরের কর্মকর্তারা অভিযোগ করেছেন। তারা বলেন, অনেকের তেমন কোনো শিক্ষাগত যোগ্যতা না থাকার পরও ভুয়া শিক্ষাগত সনদ দেখিয়ে সাব-রেজিস্ট্রার হয়ে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছেন এবং বেশি বয়সে যোগদান করায় তাদের চাকরি যেহেতু অল্প কয়েক বছরের জন্য তাই তারা এই অল্প সময়ের মধ্যেই প্রচুর অর্থ সম্পদ বানিয়ে নিয়েছেন। অনেকেই টাকার বিনিময়ে ব্যক্তি নামে খাস জমি নিবন্ধন, শ্রেণি পরিবর্তন করে ও ভুয়া খাজনা খারিজ নিয়ে জমি নিবন্ধন করে দিয়েছেন। মুজিবনগর সরকারের কর্মচারীর ভুয়া পরিচয়ে চাকরি নেওয়া এবং দুর্নীতি ও জালিয়াতির অভিযোগে ২০১২ সালে ৩৯ জনকে বরখাস্ত করেছিল মন্ত্রণালয়। তবে উচ্চ আদালতে গিয়ে তাদের অনেকেই আবার চাকরি ফিরে পান। দুর্নীতি ও জালিয়াতির দায়ে বরখাস্ত হলেও উচ্চ আদালতে গিয়ে চাকরি ফিরে পান।