বরিশালে মাদকের বিরুদ্ধে প্রশাসনের জিরো টলারেন্স থাকলেও প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে মাদকের জমজমাট ব্যবসা করে যাচ্ছেন বরিশাল নগরীর ১০ নং ওয়ার্ডের বালুরমাঠ কেডিসি কলোনির ইয়াবা মানিক ও তার সহযোগী বাদাম ইমরান এবং মালায়ন মিলন। মানিক এর আগেও বেশ কয়েকবার গ্রেফতার হলেও জামিনে বের হয়ে এসে বেপরোয়া রূপে এলাকায় দাপটের সাথে মাদক বিক্রয় চালিয়ে যাচ্ছেন।কোনভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না এই মানিককে, প্রশাসনের নিষ্ক্রয় থাকার কারন মনে করছে এলাকাবাসী।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, কিছু অসাধু প্রশাসনিক কর্মকর্তার গোপন মদদে মাদক ব্যবসায়ীরা বারবার পার পেয়ে যাচ্ছে। ফলে যখনই আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অভিযান চালায়, তখনই তারা আগেভাগে খবর পেয়ে যায় এবং গা ঢাকা দেয়। ফলে মূল অপরাধীরা অধরা থেকে যায় এবং বারবার এলাকায় ফিরে এসে আগের চেয়ে আরও বেপরোয়া হয়ে ওঠে।
এরা প্রত্যেকেই এলাকার তরুণদের মাদকের নেশায় আসক্ত করে ভয়ঙ্কর অপরাধ জগতে টেনে নিচ্ছে। এদের কারণে এলাকার পরিবেশ নষ্ট হয়ে গেছে, স্কুল—কলেজগামী শিক্ষার্থীরা পর্যন্ত মাদকের কবলে পড়ে ভবিষ্যৎ হারাচ্ছে।
এলাকাবাসী ক্ষোভ প্রকাশ করে জানায়, যদি দ্রুত এই ভয়ঙ্কর মাদক কারবারিদের গ্রেফতার করে কঠিন শাস্তি না দেওয়া হয়, তাহলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে। তারা দাবি জানায়, শুধু লোক দেখানো অভিযান নয়, বরং মাদক ব্যবসার মূলহোতাদের চিহ্নিত করে স্থায়ীভাবে নির্মূল করতে হবে। এলাকাবাসীর বক্তব্য—মাদকের শেকড় উপড়ে ফেলার জন্য প্রশাসনকে কঠোর হতে হবে এবং কোনো রকম গাফিলতি মেনে নেওয়া হবে না।
বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মো. শফিকুল ইসলাম জানান, “আমরা মাদক নির্মূলে কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছি এবং চিহ্নিত ব্যক্তিদের গ্রেফতারের জন্য বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হবে। কোনো অপরাধী রেহাই পাবে না।”