পবিত্র মাহে রমজানে খাবার হোটেল, মিষ্টির দোকান ও চা’য়ের দোকানগুলোতে পর্দা না টাঙিয়ে ব্যবসা পরিচালনার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এতে ব্যবসায়ী ও স্থানীয়দের মধ্যে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনাটি বরিশালের গৌরনদী উপজেলার সরিকল বন্দর।
জানা গেছে, সরিকল বন্দরে ১১টি খাবার হোটেল, ৬টি মিষ্টির দোকান ও ২৫ টি চা”য়ের দোকান রয়েছে। রমজান শুরুর পর থেকে দোকানগুলোতে পর্দা টাঙিয়ে ব্যবসা করে আসছিলো দোকানীরা। তবে বন্দর ব্যবসায়ী সমিতির নেতারা রমজান উপলক্ষে খাবার দোকানগুলোতে দিনের বেলায় পর্দা না টাঙাতে নির্দেশনা দিয়েছেন। ব্যবসায়ী নেতাদের এমন হটকারী সিদ্ধান্তে সাধারণ ব্যবসায়ীদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে।
সরিকল মিষ্টান্ন ভান্ডারের মালিক তারক চন্দ্র দাস বলেন, বন্দর ব্যবসায়ী সমিতির নির্দেশনায় আমি দোকানে পর্দা না টাঙিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছি। এতে আগের চেয়ে বিক্রি কম হচ্ছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বন্দরের খাবার হোটেলের এক মালিক ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, রমজান শুরু থেকে পর্দা না টাঙিয়ে দোকান খোলা রেখে ব্যবসা পরিচালনা করায় মুসলমানরা দোকানে ঢুকছে না। অন্য ধর্মের লোকজন ছাড়া কোন মুসলমান লোকজন লজ্জায় দোকানে খাবার খেতে ঢুকছে না। তাই খাবার বিক্রি খুবই কম হচ্ছে। এভাবে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান চালালে ঈদুল ফিতরে দোকান কর্মচারীদের বেতন দিতে পারব না।
সরিকল বন্দর ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি হেদায়েত হোসেন মৃধা ও সাধারন সম্পাদক লিমন হাওলাদার বলেন, রমজান উপলক্ষে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি রাতে বন্দরের খাবার হোটেল, মিষ্টি ও চা’য়ের দোকানসহ ব্যবসায়ীদের নিয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভায় সর্বসম্মতিক্রমে মাহে রমজানে খাবারের দোকানগুলোতে পর্দা না টাঙিয়ে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। দোকানে পর্দা না থাকলে অন্য ধর্মের লোকজন ছাড়া কোন মুসলমান লজ্জায় দোকানে ঢুকে খাবার খাবে না। বন্দরের দোকানে এসে খাবার খেতে না পারলে মুসলমানরা রোজা রাখবে। রোজাদারের সংখ্যা বৃদ্ধির জন্যই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে আগামী ১০ রমজান আবার আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে