• ২৪শে মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ১০ই চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বরিশাল নগরীতে প্রকাশ্যে চলছে দেহ ব্যবসা এলাকাবাসীর ক্ষোভ  প্রকাশ!

দখিনের বার্তা
প্রকাশিত মার্চ ৪, ২০২৫, ১৫:৩৮ অপরাহ্ণ
বরিশাল নগরীতে প্রকাশ্যে চলছে দেহ ব্যবসা এলাকাবাসীর ক্ষোভ  প্রকাশ!
সংবাদটি শেয়ার করুন....

 

নিজস্ব প্রতিবেদ ঃ বরিশাল নগরী  বগুড়া রোড পেশ-কার বাড়িতে চলছে, প্রকাশ্য দেহ ব্যবসা। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পেশ কার বাড়িতে, লতা নামে এক নারী তার নিজের ফেমিলি বাসায় বাড়ায় পতিতা এনে চালাচ্ছে প্রকাশ্যে দেহ ব্যবসা।

প্রতিদিন ১৫-২০ জন মধ্য বয়সী মহিলা সকাল ৯ টার পর থেকে শুরু করে। ২০০০ থেকে ২৫০০ টাকার বিনিময়ে কয়েক মিনিটের জন্য তাদের দেহ বিলিয়ে দিচ্ছে খদ্দেরের নিকট। ওই সব মহিলাদের সাথে যৌন মেলামেশা করতে ১৭ থেকে ৩০ বছর বয়সের যুবকরা বেশি ভিড় করছে।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, লতা নামে, পেশকার বাড়ীর একজন নারী এই অসামাজিক কার্যকলাপে লিপ্ত হয়ে ভাড়ায় পতিতা এনে বাড়ির ভিতর এসব কার্যক্রম চালাচ্ছেন। অভিযোগ উঠেছে, লতার ভয়ে এলাকার কোন মানুষ, মুখ খুলতে পারে না কোন প্রতিবাদ করলে লতা মিথ্যা মামলা, বিভিন্ন ভয় দেখিয়ে, এলাকার মানুষকে হয়রানি করে থাকে।

এ বিষয়ে এলাকার অনেক মানুষ বলছেন, লতার এই অসামাজিক কার্যকলাপে, এলাকার যুবসমাজ ধ্বংসের মুখে, সবাই চোখ বন্ধ করে বাড়ির ভিতর বসবাস করি। তারা আরো বলেন, বাড়ির মানসম্মান নষ্ট হবে তাই এই কারণে কারো কাছে এসব বিষয় বলা ও যায় না। এবং ছোট ছোট স্কুল পড়ুয়া ছেলে-মেয়েদের ঘর থেকে বের ও হতে দেই না।

স্থানীয় রা’ বলছেন একাধিকবার লতা এরেস্ট হলেও আইনের ফাক ফক্কর দিয়ে বের হয়ে তিনি পুনরায় এ কাজ করে থাকেন। এ বিষয়ে, পুলিশ কে একাধিক বার জানালে, তারা কোন পদক্ষেপ নেয় নি। শুধু লতার বাসায়ই না বরিশালের ম্যাক্সিমাম হোটেলে চলছে এ ব্যবসা। সাথে রয়েছে মাদকসহ জুয়ার আসর।

কাউনিয়া কাশিপুর রুপাতলি সিএনবিপুল শ্রীনাথ চ্যাটার্জিলেন বটতলা নতুল্লাবাদ নতুন বাজার অনেক জায়গায় বাসা বাড়ির ফ্লাটে দুমছে চলছে দেহ ব্যবসা ও মাদক কেনাবেচা। এর সাথে জড়িত সমস্ত উঠতি বয়সী ছেলে ও মেয়ে। যারা এ ব্যবসা করেন তাদের অনেকে বলেছে প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই তারা এ ব্যবসা পরিচালনা করেন।
সুশীল সমাজ এবং অনেক এলাকার একাধিক ব্যক্তি বলেছেন এখনই যদি এই অসামাজিক কার্যকলাপ ও মাদক ঠেকানো না যায় এর পরিণতি ভয়াবহ হতে পারে। তারা আরো আশা করেন সমস্ত প্রশাসন এ ব্যাপারটা দেখার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন।

এ বিষয়ে কোতোয়ালি মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি (মিজানুর রহমান) বলেন এই ধরনের কোন অভিযোগ আসেনি তবে, অভিযোগ পেলে অবশ্য’ ই ‘ আইন আনুক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।