• ১৭ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ৪ঠা ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

অত্যাধুনিক সরঞ্জাম ব্যবহার জানেন না ঢাকা-বরিশাল লঞ্চের চালক-ক্রুরা

দখিনের বার্তা
প্রকাশিত জানুয়ারি ১৪, ২০২৫, ১২:৪৫ অপরাহ্ণ
অত্যাধুনিক সরঞ্জাম ব্যবহার জানেন না ঢাকা-বরিশাল লঞ্চের চালক-ক্রুরা
সংবাদটি শেয়ার করুন....

ঢাকা-বরিশাল লঞ্চের অত্যাধুনিক সরঞ্জাম ব্যবহার জানেন না লঞ্চের চালকসহ অন্যান্য ক্রুরা। প্রশিক্ষণ না থাকায় প্রায়ই দুর্ঘটনার কবলে পড়ছে বিলাসবহুল লঞ্চগুলো। বারবার তাগিদ দিলেও প্রশিক্ষণের উদ্যোগ নেই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের।

১৭০ কিলোমিটার ঢাকা-বরিশাল নৌরুটে বিলাসবহুল যাত্রীবাহী লঞ্চ চলাচল করে ৩০টি। রাডার, ইন্ডিকেটর, রিমোট কন্ট্রোল, ইকো সাউন্ডার, জিপিএস ও ভিএইচএফের মতো আধুনিক যন্ত্রপাতি রয়েছে এসব লঞ্চে। যা নদীপথে দুর্ঘটনা কমাতে সহায়ক।

তবে লঞ্চে থাকা এসব অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহারের দক্ষতা নেই চালক ও সুকানিদের। তাঁদের অভিযোগ, আধুনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহারে প্রশিক্ষণ দেওয়ার কোনো উদ্যোগ নেয়নি বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) ও লঞ্চ মালিকেরা। ফলে অব্যবহৃত থেকে যাচ্ছে বেশিভাগ যন্ত্রপাতি।

চালক-সুকানিদের প্রতি বছর প্রশিক্ষণ দেওয়ার ব্যাপারে একমত হলেও প্রশিক্ষণ না দেওয়ার জন্য একে অপরের ওপর দায় দিচ্ছেন লঞ্চ মালিকপক্ষ ও বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ।

সুন্দরবন গ্রুপের ম্যানেজার জাকির হোসেন বলেন, ‘লঞ্চ চালনার পদ্ধতিগত পরিবর্তন হয়েছে। বৈরি আবহাওয়া ও কুয়াশায় অনেকসময় দুর্ঘটনা ঘটে। মালিকপক্ষ একটা বড় অংকের বিনিয়োগ করে লঞ্চ নামায়। বিআইডব্লিউটিএ কতৃপক্ষের উচিত চালক সুকানিদের জন্য প্রতি বছর নিয়মিত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা। একবার প্রশিক্ষণ দিয়ে ছেড়ে দেওয়ার দিন এখন নেই।বরিশাল বিআইডব্লিউটিএর বন্দর ও পরিবহন বিভাগের যুগ্ম-পরিচালক আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘শীতে কুয়াশার সময় কীভাবে লঞ্চ চালাতে হবে তা আমরা আগে থেকেই চিঠি দিয়ে লঞ্চগুলোকে জানিয়েছি। কুয়াশায় ১০০ মিটারের মধ্যে কিছু দেখা না গেলে লঞ্চ বন্ধ রাখার ও ঘন ঘন হর্ন বাজানোর নির্দেশনা রয়েছে। কিন্তু সচেতনতার অভাবে লঞ্চ চালকেরা এ নির্দেশনা মানছে না বলেই দুর্ঘটনা ঘটছে। আমরাও মনে করি মাস্টার সুকানিসহ সংশ্লিস্ট সবার প্রশিক্ষন দেওয়া দরকার। সমস্যা হলো এখন যারা লঞ্চ চালাচ্ছে তারা অনেক প্রবীণ, আধুনিক মেধা এদের অনেক কম।’

বরিশাল বিভাগে দুই শতাধিক চালক-সুকানি অদক্ষ অবস্থায় বিলাসবহুল লঞ্চগুলো পরিচালনা করছেন। ফলে বৈরী আবহাওয়া ও কুয়াশার কারণে সবচেয়ে বেশি নৌ-দুর্ঘটনা ঘটছে এই রুটে।