• ১৭ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ৪ঠা ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বরিশাল মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ও সদস্য সচিবকে শোকজ

দখিনের বার্তা
প্রকাশিত জানুয়ারি ১৩, ২০২৫, ১৬:৫৬ অপরাহ্ণ
বরিশাল মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ও সদস্য সচিবকে শোকজ
সংবাদটি শেয়ার করুন....

 

 

কেন্দ্রের নির্দেশনা অমান্য করে নেতাকর্মীদের নিয়ে শোডাউন দেয়ায় শোকজ করা হয়েছে বরিশাল মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান খান ফারুক ও সদস্য সচিব জিয়াউদ্দিন সিকদারকে।

 

বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত শোকজ নোটিশ আজ সোমবার (১৩ জানুয়ারি) দুপুরের দিকে মহানগর বিএনপির দুই নেতার কাছে পৌঁছেছে। নোটিশ প্রাপ্তির ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কেন্দ্রীয় দপ্তরে তাদের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

নোটিশ পাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেছেন মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান ফারুক ও সদস্য সচিব জিয়াউদ্দিন সিকদার। তারা বলেছেন, নোটিশ পেয়েছি। আমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে আমরা নাকি বরিশাল বিমানবন্দর থেকে শোডাউন করে সদর রোড দলীয় কার্যালয়ে গিয়েছি।

তারা বলেন, আমরা কোনো শোডাউন করিনি। আমাদের আশার খবরে নেতাকর্মীরা সেখানে ভিড় করেছিল। তারপরও কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের প্রতি সম্মান জানিয়ে যথাসময়ে শোকজের জবাব দেব।

এর আগে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের সাথে বৈঠক শেষে গত ১১ জানুয়ারি দুপুরের দিকে বরিশালে ফেরেন মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান খান ফারুক ও সদস্য সচিব জিয়াউদ্দিন সিকদার। এসময় বরিশাল-ঢাকা মহাসড়কের নগরীর গড়িয়ারপর থেকে সদর রোড দলীয় কার্যালয়ের সামনে পর্যন্ত বিশাল শোডাউন করেন তারা।

দুই নেতাকে বহনকারী সাদা এবং কালো রঙের দুটি মাইক্রোবাসের পেছনে ছাত্রদল, যুবদল, শ্রমিকদলসহ বিএনপি ও তার অঙ্গ এবং সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা অসংখ্য মোটরসাইকেল নিয়ে শোডাউনে অংশ নেন। এর ফলে নগরীর ব্যস্ততম নগরীর নথুল্লাবাদ কেন্দ্রীয় বাসস্ট্যান্ড, সিএন্ডবি রোড, চৌমাথা, বটতলা এবং সদর রোড পর্যন্ত দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়।

শোডাউন শেষে সদর রোডে দলীয় কার্যালয়ের সামনে নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখেন আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান খান ফারুক ও সদস্য সচিব জিয়াউদ্দিন সিকদার।

 

শোকজ নোটিশ হাতে পেয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছেন মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব জিয়াউদ্দিন সিকদার। তিনি বলেন, আজ শোকজ নোটিশ হাতে পেয়েছি। আমাদের বিরুদ্ধে বিমানবন্দর থেকে সদর রোড দলীয় কার্যালয় পর্যন্ত শোডাউন দেয়ার অভিযোগ করা হয়েছে। এর জবাব চাওয়া হয়েছে নোটিশে। আমরা কোনো প্রকাশ শোডাউন করিনি। এ বিষয়ে যথাযথভাবে নোটিশের জবাব দেয়া হবে।

অপরদিকে, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান খান ফারুক বলেন, শোকজ নোটিশ আমরা পেয়েছি। কিন্তু আমাদের বিরুদ্ধে শোডাউনের যে অভিযোগ করা হয়েছে সেটা সঠিক নয়। মূলত আমাদের ঢাকা থেকে ফেরার খবরে উৎসুক নেতাকর্মীরা স্বপ্রণোদিত হয়ে এগিয়ে আসে। আমরা দু’জন পৃথক মাইক্রোবাসে ছিলাম।

তিনি বলেন, নথুল্লাবাদ কেন্দ্রীয় বাসস্ট্যান্ড এমনেতেই ব্যস্ততম এলাকা। সেখানে যানবাহনের কারণে যানজট লেগে থাকে। তার ওপর আমাদের দলে নেই, বিএনপির এমন একটি গ্রুপ নথুল্লাবাদ এলাকায় ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ করেন। এজন্য সেখানে গ্যাদারিং এবং যানজট সৃষ্টি হয়।

তিনি দাবি করেন, আমাদের কারণে যানজট সৃষ্টি হয়নি। বরং যানজট যাতে না হয় সে জন্য আমরা সিএন্ডবি রোড হয়ে, চৌমাথা, নবগ্রাম রোড, সাহেবের গোরস্থান সংলগ্ন সড়ক এবং সদর রোড হয়ে দলীয় কার্যালয়ে পৌঁছেছি। তার পরও যেহেতু আমাদের শোকজ করা হয়েছে, আমরা সেভাবেই কেন্দ্রের জবাব দেব।