বরিশালের উজিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কার্যালয়ের প্রাচীর সংলগ্ন সরকারি মেহগনি গাছ কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় এক বিএনপি নেতা মিঠুর বিরুদ্ধে। গাছ কাটার ঘটনাকে কেন্দ্র করে ১৫ ডিসেম্বর সোমবার সকালে উজিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে রাস্তার উপর বিএনপির দুই গ্রুপ মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়, যা এলাকায় উত্তেজনার সৃষ্টি করে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উজিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নতুন ভবনের নিরাপত্তা বেষ্টনী ওয়াল নির্মাণের ঠিকাদারি পান স্থানীয় বিএনপি নেতা মিঠু। নিরাপত্তা বেষ্টনীর কাজ শেষ হলেও বেষ্টনীর পাশে থাকা প্রায় ১০ থেকে ১২টি মেহগনি গাছ কেটে নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয় একটি সূত্র জানায়, সরকারি বন্ধের দিন শুক্রবার ও শনিবার গোপনে এসব গাছ কেটে নেওয়া হয়। স্থানীয়দের অভিযোগ, নিরাপত্তা বেষ্টনী থেকে গাছগুলো অনেক দূরে অবস্থান করলেও কোনো কারণ ছাড়াই গাছগুলো লুটপাট করা হয়েছে।
স্থানীয়রা আরও জানান, গাছগুলো উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে মাত্র ২০ মিটার দূরে অবস্থিত এবং পুরো এলাকা সিসিটিভি ক্যামেরার আওতাভুক্ত। এ অবস্থায় গাছ কাটার ঘটনায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার যোগসাজশ রয়েছে বলেও অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয়রা।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত বিএনপি নেতা মিঠুর সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আপনি আমার সামনে আসেন, আমি বক্তব্য দেব। মুঠোফোনে কোনো কথা বলব না। আপনি যদি ভূয়া সাংবাদিক হন।”
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অফিসের পাশের সরকারি জমির গাছ কেটে নিয়ে বিষয়ে জানতে একাধিকবার মুঠোফোন যোগাযোগের চেষ্টা করলে ফোন রিসিভ না করায় তার কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
সরকারি গাছ কাটার বিষয়ে জানতে চাইলে উজিরপুর উপজেলা বন কর্মকর্তা মোঃ হুমায়ন কবির বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই, আমি এখন জানলাম। বিষয়টি আমার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে অবহিত করব।”
সরকারি গাছ কাটার বিষয়ে জানতে বরিশাল জেলা প্রশাসক ও জেলা মাজিস্ট্রেট মো:খাইরুল ইসলাম সুমন বলেন আমি জেনে ব্যবস্থা নিতেছি।
এদিকে বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে সরকারি গাছ কাটার অভিযোগ প্রসঙ্গে বরিশাল জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও সাবেক সংসদ সদস্য আবুল হোসেন খান বলেন, আমার কাছে এখনো কেউ লিখিত বা মৌখিক অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”