• ১০ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ২৫শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বরিশালে সেতুর উদ্বোধণী অনুষ্ঠানে হামলা : তিনশ’ গ্রামবাসীর বিরুদ্ধে মামলা

দখিনের বার্তা
প্রকাশিত ডিসেম্বর ১০, ২০২৫, ১৮:০৭ অপরাহ্ণ
বরিশালে সেতুর উদ্বোধণী অনুষ্ঠানে হামলা : তিনশ’ গ্রামবাসীর বিরুদ্ধে মামলা
সংবাদটি শেয়ার করুন....

 

বরিশালের মুলাদী উপজেলার নাজিরপুর এলাকায় সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে হামলার ঘটনায় অজ্ঞাতনামা তিন’শ গ্রামবাসীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। সেতুর নির্মান শ্রমিক মেহেদী হাসান মৃধা বাদি হয়ে মুলাদী থানায় এ মামলা দায়ের করেছেন।

বুধবার (১০ ডিসেম্বর) দুপুরে মামলা দায়েরের সত্যতা স্বীকার করে মুলাদী থানার ওসি আরাফাত জাহান চৌধুরী বলেন, মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে সরকারি কাজে বাঁধা, অনুষ্ঠানে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ আনা হয়েছে। ওসি আরও জানিয়েছেন-মামলার তদন্ত শেষে আসামিদের চিহ্নিতপূর্বক গ্রেপ্তার করা হবে।

সূত্রমতে, এর আগে গত ৬ ডিসেম্বর বেলা বারোটার দিকে মুলাদী উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের আড়িয়াল খাঁ নদীর ওপর নির্মিত সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শত শত গ্রামবাসী হামলা চালায়।

মামলার এজাহারে বাদি উল্লেখ করেছেন, গত ৬ ডিসেম্বর স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিবের উপস্থিতিতে অনলাইনে সংযুক্ত হয়ে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার আড়িয়াল খাঁ নদীর সেতু উদ্বোধনের কথাছিলো। ওইদিন সকালে জেলা প্রশাসক মো. খায়রুল আলম সুমন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. গোলাম সরওয়ার, মুলাদী থানার তৎকালীন ওসি মো. সফিকুল ইসলামসহ অন্য কর্মকর্তারা সেতুর পশ্চিমপ্রান্তে উপস্থিত ছিলেন।

মন্ত্রণালয়ের সচিব ও অন্য কর্মকর্তারা আসার আগেই নাজিরপুর ও রামারপোল গ্রামের তিন শতাধিক লোক সেতুর পূর্ব পাড় থেকে মিছিল নিয়ে অনুষ্ঠানস্থলে হামলা চালায়। হামলাকারীরা সেতুর উদ্বোধনী ফলক ভেঙে উপস্থিত কর্মকর্তাদের সামনেই সভামঞ্চ ও চেয়ার ভাঙচুর করে লালগালিচা নিয়ে যায়। এতে পুরো অনুষ্ঠান পন্ড হয়ে যায় এবং সরকারের অপূরণীয় ক্ষতি হয়।

মামলার বাদি মেহেদী হাসান জানান, নাম-ঠিকানা সংগ্রহ করতে না পারায় মামলায় অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।

সূত্রমতে, ২০১৪ সালে আড়িয়াল খাঁ নদীর ওপর নাজিরপুর-রামারপোল সৌহার্দ্য সেতু নামে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন তৎকালীন অর্থ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. ইমদাদুল হক মজনু। দীর্ঘদিন কাজ বন্ধ থাকার পর চলতি বছর মূল সেতুর নির্মাণকাজ শেষ হয়। সংযোগ সড়কের কাজ অসম্পূর্ণ রেখেই রামারপোল গ্রামের বাসিন্দা স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার সহকারী একান্ত সচিব মো. আয়মন হাসান রাহাত মন্ত্রণালয় থেকে সেতুটির নাম পাল্টে ৩৬ জুলাই সেতু করেন।

পরবর্তীতে গত ৬ ডিসেম্বর উদ্বোধনের দিন ঘোষণা করা হয়। কিন্তু সেতুর নাম পরিবর্তন করা, অবসরপ্রাপ্ত অতিরিক্ত সচিব ইমদাদুল হক মজনুকে অনুষ্ঠানে দাওয়াত না দেয়া এবং ভূমির মালিকদের টাকা পরিশোধ না করে সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করায় শত শত গ্রামবাসী অনুষ্ঠানস্থলে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেন।

পরবর্তীতে কর্মকর্তারা ওইদিন বরিশাল শহরে গিয়ে ‘সৌহার্দ্য ৩৬ জুলাই সেতু’ নাম দিয়ে ভার্চুয়ালি সেতুটির উদ্বোধণ করেছেন।