জমি নিয়ে বিরোধের জেরে ফিলিং স্টেশনের সামনে বাঁশের বেড়া দেয়াকে কেন্দ্র করে দুইপক্ষের মধ্যে চরম উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯ এর মাধ্যমে উত্তেজনার সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় থানা পুলিশ।
এ খবর পেয়ে পুলিশের উপস্থিতিতে সরেজমিন পরিদর্শন করে উল্লেখিত ঘটনায় সংবাদ প্রকাশ করায় একপক্ষের রোষানলে পড়ে চাঁদাবাজি মামলার আসামি করা হয়েছে এক সাংবাদিককে।
বাদীর দায়ের করা লিখিত অভিযোগের তদন্ত না করেই বরিশালের ঐতিহ্যবাহী গৌরনদী প্রেসক্লাবের সদস্য সাংবাদিক মোল্লা ফারুক হাসানকে আসামি করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী ওই সাংবাদিক।
এ ঘটনায় স্থানীয় সংবাদকর্মী, বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম (বিএমএসএফ) এবং বরিশাল সাংবাদিক ফোরামের নেতৃবৃন্দরা তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে অনতিবিলম্বে মামলা থেকে সাংবাদিককে অব্যাহতি দেয়ার জন্য প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। পাশাপাশি লিখিত অভিযোগের তদন্ত ছাড়াই এজাহারভুক্ত করার সাথে জড়িত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন নেতৃবৃন্দ।
সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে ভুক্তভোগী সাংবাদিক মোল্লা ফারুক হাসান অভিযোগ করে বলেন, ‘গত কয়েকদিন পূর্বে জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে গৌরনদী উপজেলার কটকস্থল বাসষ্ট্যান্ড সংলগ্ন আরিফ ফিলিং স্টেশনের সামনে বাঁশের বেড়া নির্মাণকে কেন্দ্র করে স্থানীয় হারুন-অর রশিদ ও হিরা মাঝি গংদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।’
‘৯৯৯ এর মাধ্যমে খবর পেয়ে গৌরনদী মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। স্থানীয়দের কাছে এ সংবাদ পেয়ে আরিফ ফিলিং স্টেশনের সামনে আমি সংবাদ সংগ্রহের জন্য যাই। পরবর্তীতে বিষয়টি নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করা হয়।’
সাংবাদিক মোল্লা ফারুক হাসান আরও বলেন, ‘দুইপক্ষের ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রবিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) হারুন-অর রশিদ তার প্রতিপক্ষ হিরা মাঝিসহ অন্যান্যদের বিরুদ্ধে ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি, হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।’
‘ওই অভিযোগের মধ্যে সংবাদ প্রকাশের জের ধরে আমার (মোল্লা ফারুক হাসান) নাম জড়িয়ে দেওয়া হয়। থানা পুলিশ রহস্যজনক কারণে কোনো ধরনের তদন্ত না করেই ওই লিখিত অভিযোগটি এজাহারভুক্ত করে।’
অভিযোগ করে সাংবাদিক মোল্লা ফারুক হাসান আরও বলেন, ‘যেখানে সাধারণত হুমকি-ধমকির বিষয়ে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করতে গেলে আগে তদন্ত প্রসঙ্গটি উত্থাপন করে থানা পুলিশ। সেখানে ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি, হামলা ও ভাঙচুরের একটি লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পরপরই তদন্ত ছাড়া তড়িঘড়ি করে আমাকে জড়িয়ে অভিযোগটি এজাহারভুক্ত করা রহস্যজনক।’ মিথ্যে মামলা থেকে রেহাই পেতে তিনি (সাংবাদিক) প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
এ বিষয়ে জানতে মামলার বাদী হারুন-অর রশিদের ব্যবহৃত (০১৭১৬-১৯১৮৯১) নাম্বারে একাধিকবার ফোন করেও নাম্বারটি বন্ধ পাওয়ায় তার কোনো ধরনের বক্তব্য নেওয়া যায়নি।
লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পরপরই তদন্ত ছাড়া একজন সাংবাদিককে মামলায় আসামি করার ব্যাপারে গৌরনদী মডেল থানার ওসি মো. তরিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, ‘একটা মামলা হয়েছে। এখন তদন্ত করে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।