• ৪ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ২০শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সোহাগের অত্যাচারে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী,কোমলমতি শিক্ষার্থীরা তার হাত থেকে বাঁচতে চাই।

দখিনের বার্তা
প্রকাশিত সেপ্টেম্বর ৪, ২০২৫, ০২:৪৮ পূর্বাহ্ণ
সোহাগের অত্যাচারে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী,কোমলমতি শিক্ষার্থীরা তার হাত থেকে বাঁচতে চাই।
সংবাদটি শেয়ার করুন....

 

নিজস্ব প্রতিবেদক //
দলীয় কোন্দল কে কেন্দ্র করে নগরীতে দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।ঘটনাটি ঘটেছে নগরীর ৫ নং ওয়ার্ড পলাশপুর এলাকায়। গত সোমবার রাত পৌনে ১২ টায় এই ঘটনা ঘটে।এ ঘটনায় কোমলমতি শিক্ষার্থীদের মেরে রক্তাক্ত জখম করেছেন ওই ওয়ার্ড বিএনপি’র এক নেতা।
আহত শিক্ষার্থীরা হলেন, আবু তালহা, বাপ্পি, সাব্বির।
আহত শিক্ষার্থী বাপ্পির স্বজনরা জানান,

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি ৪৭ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে বরিশাল নগরীর ৫ নং ওয়ার্ড পলাশপুর থেকে বি এন পির পৃথক ২ টা মিছিল বের হয়।এলাকা থেকে মিছিল দুইটি বের হয়ে বরিশাল মহানগর বিএনপির মিছিলের সাথে অংশগ্রহণ করেন।এই ওয়ার্ড থেকে যে মিছিল দুইটি বের হয় একটি মিছিলে অংশ নেন
শিক্ষার্থী আবু তালহা, সাকিব, ও বাপ্পি।আর মিছিলের এই অংশকে নিয়েই শুরু হয় দ্বন্দ্ব। মিছিল শেষে বাড়ি ফেরার পথে ওই শিক্ষার্থীদের
পথরোধ করেন বিএনপি নেতা নামধারী মেহেদি হাসান সোহাগ।শিক্ষার্থীদের কাছে জানতে চান সোহাগের মিছিলে কেন তারা অংশগ্রহণ করেননি।এক কথায় দুই কথায় তাদের
উদ্দেশ্য করে গালিগালাজ শুরু করেন সোহাগ।কোমলমতি শিক্ষার্থীদের চোরবলে আখ্যায়িত করেন এবং তার গ্যারেজের রিক্সার মাল ও মাদক তাদের সাথে দিয়ে পুলিশে ধরিয়ে দেওয়ার হুমকি দেন।একপর্যায়ে সোহাগ ওই শিক্ষার্থীদের ধরে তার গ্যারেজ থেকে বড় রামদা এনে, রামদার উল্টো পাশ দিয়ে তাদের পিটানো শুরু করেন(যার সমস্ত ভিডিও ডকুমেন্ট রয়েছে সোহাগের সিসি ক্যামেরা এবং আশেপাশের সিসি ক্যামেরায়)। অতঃপর ওই শিক্ষার্থীরা আবীরকে ফোন করে তাদের বাচানোর কথা বলে। যুবদল নেতা আবীর তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে ছুটে গেলে সোহাগ আরো ক্ষিপ্ত হয়ে
আবিরকে দেখামাত্রই দা নিয়ে আবিরকে কোপোনার জন্য ছুটে আসেন।আবিরের মাথা বরাবর কোপ দেন।ভাগ্যবসতো আবীর সরে যায়।পরবর্তীতে স্থানীয়দের কারণে কোপাতে ব্যর্থ হন সোহাগ।যার সমস্ত ডকুমেন্ট রয়েছে সোহাগের এবং স্থানীয়দের সিসি ক্যামেরায়।যেহেতু সোহাগ যে ঘটনা ঘটিয়েছে তার সমস্ত কিছু ভিডিও ডকুমেন্ট রয়েছে,তাই নিজের দোষ ঢাকতে এবং প্রশাসনের হাত থেকে নিজেকে বাঁচানোর জন্য ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করছে।
এ ব্যাপারে যুবদল নেতা কালু জানান,
এই সমস্ত ঘটনার ফুটেজ সোহাগের নিজস্ব ক্যামেরায় দেখলে পাওয়া যাবে। এই বিষয়গুলোকে ধামাচাপা দেয়ার জন্য সোহাগ রাজনৈতিক ইস্যু বাদ দিয়ে মাদকের বিষয় নিয়ে মারামারি হয়েছে এই বিষয়টা বলে। কালু আরো জানান,
এই সোহাগ নিজেই একজন মাদক ব্যবসায়ী এবং গত বছর ৫ ই আগস্ট হাসিনার পতনের পরে এলাকায় ত্রাসের রাজ্য কায়েম করে এবং ছোট ছোট ছেলেদের দিয়ে ইয়াবা ব্যবসার পরিচালনা করে। সোহাগ বিগত ১৭ বছর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের খুব ঘনিষ্ঠ ছিল যার জন্য তার সবকিছুই সহজ হয়ে যেত।
নিজেদের অপকর্ম ঢাকার জন্য সে এখন স্থানীয় কিছু নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে।স্থানীয়রা প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন আপনারা সঠিকভাবে তদন্ত করুন এবং সোহাগের গ্যারেজের সিসি ফুটেজ চেক করুন তাহলেই সত্যটা কি সেটা প্রকাশ পাবে।
এখন অন্যপক্ষকে রাজনৈতিকভাবে বেকায়দায় ফালানোর জন্য তারা মাদকের কথা বলে বিষয়টাকে ঘোরানোর চেষ্টায় লিপ্ত হয়ে আছে।
এ ঘটনায় যুবদল নেতা আবির সাংবাদিকদের বলেন আপনারা সঠিকভাবে তদন্ত করুন এবং সোহাগের গ্যারেজের সিসি ক্যামেরা ফুটেজ অনুসন্ধান করে প্রসাসন এর মাধ্যমে সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষির শাস্তি নিশ্চিত করুন।