নিজস্ব প্রতিবেদক: নগরীর ১০ নং ওয়ার্ড কেডিসি বালুর মাঠ এলাকায় মাদক বিরোধী কমিটির নামে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সক্রিয় হওয়ার প্রক্রিয়া চালাচ্ছে সাবেক কাউন্সিলর এটিএম শহীদুল্লাহ কবির এমনই অভিযোগ পাওয়া গেছে স্থানীয় বিএনপি ও স্থানীয়দের কাছ থেকে। স্থানীয় একটি সূত্র থেকে জানা যায়, দীর্ঘ ১৭ বছর আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকাকালীন সময়ও ওই এলাকায় রমরমা মাদকের বাণিজ্য থাকলেও তৎকালীন কোন মাদকবিরোধী কমিটি করতে দেখা যায়নি কিন্তু হঠাৎ করেই এক মাস পূর্বে এটিএম শহিদুল্লাহ কবিরের নেতৃত্বে ৫১ সদস্য বিশিষ্ট একটি মাদকবিরোধী কমিটি তৈরি করা হয় যাতে ছিল বেশির ভাগই ১০ নং ওয়ার্ড ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ।যাদেরকে দিয়ে কমিটি গঠন করা হয়েছে তারা হলেন , ১০ নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের যুগ্ন আহ্বায়ক আনোয়ার বাবুর্চি, ১০ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি দিলু, সাংগঠনিক সম্পাদক নিজাম বেপারি, মহিলা আওয়ামী লীগ নেত্রী রেশমা,পাপিয়া , কাজল, হাওয়া, সালমা,রিনা,ঝুমুর,আখি,আল আমিন গাজী, হোটেল মনোয়ারার মালিক মনোয়ার,খুশি , আলেয়া বেগম,মাওলানা কবির,আয়েশা,রহিমা সহ ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ।জুলাই আগস্ট বরিশাল ছাত্র আন্দোলনের সময় তৎকালীন রাজপথে আওয়ামী লীগ সরকারের পক্ষে এদের নেতৃত্বে ছাত্রদের উপর হামলার অভিযোগ রয়েছে। কিন্তু কেন যেন অদৃশ্য শক্তির কারণে বরিশাল প্রশাসনে এদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নিচ্ছেন না বলে অভিযোগ করেন স্থানীয়রা। এছাড়াও এই মাদক বিরোধী কমিটির নাম করে একত্রিত হয়ে নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ সরকারের সাংগঠনিক দক্ষতা ব্যক্তি বৃদ্ধির লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। যাতে করে শান্ত বরিশাল নগরীকে অশান্ত করে তোলা যায়। এই নিষিদ্ধ সংগঠনের মাদক বিরোধী কমিটি গঠনের পরপরই ওই এলাকার স্থায়ী এক বাসিন্দা ও বরিশাল মহানগর ছাত্রদলের সহ-সভাপতি পথ দারি এক নেতা ফেসবুক পোস্টে উল্লেখ করে সবাইকে সতর্ক করে বলেন ১০ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সক্রিয় হওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে এই নিষিদ্ধ সংগঠনকে প্রতিহত করার জন্য এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
১০ নং ওয়ার্ডের বিএনপির সাবেক সভাপতি শাহাদাৎ ইসলাম তোতা মিয়ার সাথে এ বিষয় আলাপ হলে তিনি বলেন কমিটি বিএনপির লোকজন নিয়ে নতুন করে আবার করা হবে, আওয়ামী লীগের সাবেক কাউন্সিলর এটিএম শহিদুল্লাহ ওয়ার্ডে আওয়ামীলীগ পূর্নবাসন করছেন এ বিষয় কথা বললে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান