• ৩১শে জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ১৬ই শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দেড় শতাধিক মামলা দিয়েও থামানো যায়নি বদিউজ্জামান মিন্টুকে

দখিনের বার্তা
প্রকাশিত জুলাই ২০, ২০২৫, ১৬:৩২ অপরাহ্ণ
দেড় শতাধিক মামলা দিয়েও থামানো যায়নি বদিউজ্জামান মিন্টুকে
সংবাদটি শেয়ার করুন....

 

নিজস্ব প্রতিবেদক : সেই স্কুল জীবন থেকে ছাত্রদলের রাজনীতি দিয়ে শুরু। এরপর নানান অত্যাচার, নির্যাতন, মামলা-হামলা শত অত্যাচার সহ্য করেও বিএনপি’র রাজনীতিতে ৪০ বছর পেরিয়ে ৪১ বছরে পদার্পন করেছেন কর্মী বান্ধব নেতা হিসেবে তৃনমূলে ব্যাপক পরিচিত পাওয়া বদিউজ্জামান মিন্টু। রাজনীতির মাঠে দীর্ঘ ৪০ বছর চড়াই-উৎড়াই পাড় করে তিনি (মিন্টু) বর্তমানে বরিশালের গৌরনদী উপজেলা বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ন আহবায়কের দায়িত্বে আছেন।

জানা গেছে, ১৯৮৪ সালে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আদর্শে গড়া সংগঠন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের গৌরনদী পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে রাজনীতিতে প্রবেশ করেন। স্কুল ছাত্রদলে দুই বছর বলিষ্ট নেতৃত্ব দেওয়ার ফলে ১৯৮৭ সালে চাঁদশী ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। সেখানে রাখেন বলিষ্ট ভূমিকা। পরবর্তীতে ১৯৯১ সালে সরকারি গৌরনদী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ শাখা ছাত্রদলের যুগ্ন আহবায়কের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯২ সালে ছাত্র সংসদের ক্রীড়া সম্পাদক নির্বাচিত হন। একই বছর কলেজ শাখা ছাত্রদলের সভাপতি নির্বাচিত হন। পরবর্তীতে গৌরনদীতে ছাত্র রাজনীতির জনপ্রিয়তার শীর্ষে উঠে আসেন।

১৯৯৫ সালে উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি এবং ২০০০ সালে ছাত্রদল বরিশাল জেলা শাখার সিনিয়র সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন। দলের প্রতি আনুগত্য ও আর নীতির প্রশ্নে আপসহীন এ নেতাকে ২০০৩ সালে যুবদলের গৌরনদী শাখার আহবায়ক করা হয়। পরবর্তীতে ২০০৫ সালে উপজেলা যুবদলের সভাপতি নির্বাচিত হন। স্বল্প সময়ের ব্যবধানে যুবদলের রাজনীতিতে বরিশাল জেলাজুরে ব্যাপক সাড়া ফেলেন মিন্টু। ফলশ্রæতিতে ২০০৮ সালে বরিশাল জেলা উত্তর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।

২০০৯ সালে উপজেলা বিএনপি’র যুগ্ন আহবায়ক এবং একই বছর উপজেলা বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হন। এসময় উপজেলা ব্যাপী তার সাংগঠনিক সুনাম ছড়িয়ে পড়ে। ২০০৯ সালের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চারদলীয় ঐক্যজোট প্রার্থী ছিলেন মিন্টু। ২০১০ সালে বরিশাল জেলা বিএনপি’র প্রচার সম্পাদক নির্বাচিত হন তিনি। ২০১৫ সালে উপজেলা বিএনপি’র যুগ্ন আহবায়ক, ২০২২ সালে বরিশাল জেলা বিএনপি’র আহবায়ক সদস্য এবং ২০২৩ সাল থেকে উপজেলা বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ন আহবায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।

সূত্রে আরও জানা গেছে, স্কুল জীবনে ছাত্রনেতা হয়ে নিজের মেধা দিয়ে পর্যায়ক্রমে উপজেলা ও জেলা বিএনপি’র গুরুত্বপূর্ন পদে দায়িত্ব পালন করেছেন মিন্টু। নিজের পরিশ্রম, জনসম্পৃক্ততা আর নিষ্ঠার মাধ্যমে ধাপে ধাপে উঠে আসা ওই বিএনপি নেতা এখন দাঁড়িয়ে আছেন এক অদৃশ্য ষড়যন্ত্রের মুখোমুখি।

বিএনপি নেতা মিন্টুর সমর্থকরা জানিয়েছেন, বিগত ১৭ বছরে মামলা-হামলা শত অত্যাচারেও রাজপথে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে অকুতোভয়ে লড়াই সংগ্রাম চালিয়ে গেছেন। রাজপথ থেকে তাকে হটিয়ে দিতে হেলমেট পড়িয়ে অত্যাচার করা হয়েছে। এরপরও তিনি থেমে থাকেননি। সুস্থ হয়েই ফিরে গেছেন রাজপথের আন্দোলন সংগ্রামে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে নেতাকর্মীদের মধ্যে জনপ্রিয়তা অর্জন করেন এবং দলে শক্ত অবস্থান গড়ে তুলেছেন।

যে কারনে দলের শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে তার একটি গ্রহন যোগ্যতা রয়েছে। কিন্তু তার উত্থান যেন কারও কারও গাত্রদাহের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তার বিরুদ্ধে একের পর এক ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। বিগত ফ্যাসিষ্ট সরকারের সময়ে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের দ্বারা অত্যাচার-নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন।

এবিষয়ে উপজেলা বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ন আহবায়ক বদিউজ্জামান মিন্টু বলেন, আমি রাজনীতি করি মানুষের জন্য, ক্ষমতার জন্য নয়। আমাকে দমিয়ে রাখার জন্য দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে কমপক্ষে ১৫০টি রাজনৈতিক মামলা দিয়ে হয়রানি করা হয়েছে। সাতবার হামলার শিকার হয়েছি। এরমধ্যে পাঁচবারই হত্যা চেস্টা করা হয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে অসংখ্যবার মামলা-হামলার শিকার হয়েও দলীয় কার্যক্রম থেকে আমাকে সরিয়ে রাখা যায়নি। ষড়যন্ত্রকারীরা সেই ধারা এখনো অব্যাহত রেখেছে, তাতে আমি বিচলিত নই। জনগন এবং কর্মীরাই আমার শক্তি।