• ১৩ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ৩০শে বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পছন্দের ঠিকাদারকে অর্থের বিনিময়ে কাজ দেওয়ার অভিযোগ বরিশাল শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে:

দখিনের বার্তা
প্রকাশিত এপ্রিল ২৪, ২০২৫, ১১:২৪ পূর্বাহ্ণ
পছন্দের ঠিকাদারকে অর্থের বিনিময়ে কাজ দেওয়ার অভিযোগ বরিশাল শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে:
সংবাদটি শেয়ার করুন....

 

পছন্দের ঠিকাদারকে অর্থের বিনিময়ে সরকারি কাজ দেয়ার অভিযোগ উঠেছে বরিশাল শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী শহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে। নগরীর ২০ নম্বর ওয়ার্ডে অবস্থিত কলেজিয়েট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নতুন ভবন নির্মাণ প্রকল্পের জন্য শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর দরপত্র আহ্বান করে। প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয় ৪ কোটি ২৯ লাখ ৩৪ হাজার টাকা।

জানা যায়, এর আগে ১৯ জুন,২০১৯ এই কাজটির জন্য একটি টেন্ডার অনুষ্ঠিত হয়েছিল এবং কোহিনূর এন্টারপ্রাইজ নামক একটি প্রতিষ্ঠান কাজটি পায়। তখন উক্ত বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি, মহানগর যুবলীগ নেতা ও ২০ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর জিয়াউল হক বিপ্লব ও তার ঘনিষ্ঠ সহচর জাহিদ ওরফে চাউল জাহিদ কাজটি শুরু করে। তবে তারা সময়মতো কাজ শেষ করতে ব্যর্থ হয়। এতে করে প্রকল্পটি রিটেন্ডারে যায় এবং নতুন করে দরপত্র আহ্বান করা হয়।
রিটেন্ডারে বিভিন্ন স্থান থেকে চারটি প্রতিষ্ঠান নিয়ম অনুযায়ী অংশগ্রহণ করে এবং সবাই ১০ শতাংশ ছাড় দিয়ে দরপত্র জমা দেয়। কিন্তু অভিযোগ রয়েছে, নির্বাহী প্রকৌশলী শহিদুল ইসলাম নিয়মের তোয়াক্কা না করে পুনরায় উক্ত বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি, মহানগর যুবলীগ নেতা ও ২০ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর জিয়াউল হক বিপ্লবের ঘনিষ্ঠ একটি প্রতিষ্ঠানকে কাজ পাইয়ে দেয়ার চেষ্টা করছেন। এখানে বিপ্লব পলাতক থাকলেও তার ঘনিষ্ঠ সহচর জাহিদ ওরফে চাউল জাহিদের মাধ্যমে অফিসে প্রধান নির্বাহী প্রকৌশলীর সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করছেন।
দরপত্রে অংশ নেয়া একাধিক ঠিকাদার অভিযোগ করে বলেন, নির্বাহী প্রকৌশলী এমন একটি লাইসেন্সধারী প্রতিষ্ঠানকে কাজ দিতে চাইছেন যা নিয়মবহির্ভূত ও বেআইনি। তারা দাবি করেন, প্রকৌশলী শহিদুল ইসলাম বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদের সদস্য এবং রাজনৈতিক কারণে তিনি আওয়ামী লীগের নেতাকে বাড়তি সুবিধা দেয়ার অপচেষ্টা চালাচ্ছেন। শুধু তাই নয় ,টেন্ডার প্রক্রিয়া ১২০ দিনের মধ্যে শেষ করার কথা থাকলেও , শুধুমাত্র আওয়ামী লীগের নেতাকে সুবিধা পাইয়ে দিতে প্রায় ৪ মাস অতিক্রম করার পরও কোন সিদ্ধান্ত দিতে পারেনি।
এই অনিয়মের নিরপেক্ষ তদন্ত ও দায়ীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন ঠিকাদারা।
এ বিষয়ে বরিশাল শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশল শহিদুল ইসলাম বলেন এখনো টেন্ডার অনুমোদন হয়নি। আমি কোন পছন্দের লোকদের দেয়নি। সব অভিযোগ মিথ্যা বানোয়াট।