নিজস্ব প্রতিবেদকঃ-বরিশালে হোটেল বয় থেকে কোটি টাকার মালিক এমন কথা শুনে চমকে উঠার কথা সবার।তবে কঠোর পরিশ্রম আর আধ্যবসায় থাকলে সব সম্ভব।তবে বরিশালে আবাসিক হোটেলের বয় থেকে এখন চারটি হোটেল ভাড়া নিয়ে চালাচ্ছেন বাখেরগঞ্জের পতিতা সাপ্লাইয়ার মানিক।চারটি হোটেল চালাতে এডভান্স দেওয়া হয়েছে কয়েক কোটি টাকা এত টাকা কোথায় পেল? প্রশ্ন আসবে এটা স্বাভাবিক।তবে অভিযোগ আছে প্রশাসনের কিছু অসাধু কর্মকর্তা অবৈধ পন্থায় আয় করা কালো টাকাকে সাদা করার কারিগর হিসাবে তাকে ব্যবহার করছেন। আর অসাধু কর্মকর্তাদের নামে মানিকের হোটেলে চলে জুয়া আর পতিতা ব্যবসা।
হা যার কথা বলছি তিনি হলেন বরিশালের পরিচিত মূখ মানিক যাকে বরিশালের এক নামে পরিচিত নারীর সাপ্লায়ার ও দালাল হিসাবে।মানিক বরিশালের প্রথমে হোটেল গালিবে হোটেল বয় হিসাবে কাজ করেছেন দীর্ঘদিন।তারপর ধীরেধীরে তার সখ্যতা গড়ে উঠে প্রশাসনের লোকদের সাথে আর তাকে পিছু ফিরে তাকাতে হয় না।এরপর সে বিয়ে করে হোটেলের পতিতা সাপ্লাই দেওয়া সর্দারনীকে।এখন তার রয়েছে বরিশালের প্রান কেন্দ্রে অবস্থিত চারটি হোটেল যার এডভান্স দেওয়া আছে প্রায় আছে ৬কোটি টাকার উপরে।বরিশালের সদর রোডের সামস,গির্জামহল্লার ইম্পেরিয়াল,ফলপ্ট্রির রোদেলা এবং আজিজিয়া হোটেল।
সম্প্রতি সদর রোড সামসে বাগেরহাট হাইওয়ে থানার ওসির মৃত্যু পর বেড়িয়ে আসতে শুরু করেছে থলের বিড়াল।বিশ্বস্ত সূত্রে তথ্যে জানা যায় এই সকল হোটেলের সাথে জড়িত আছে বরিশাল মহানগর ডিবি পুলিশের ইন্সপেক্টর।বরিশালের অধিকাংশ মানুষ জানে হোটেল সামস পুলিশের হোটেল।তবে অনেকে বলেন সরকারি কর্মচারি হয়ে কোনভাবে ব্যবসা করতে পারেনা।সরকারি চাকরি করে ব্যবসা করা আইনের নিয়ম বহিঃভূত।
আইনের লোকের প্রভাব খাটিয়ে বরিশালে কোন নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে মানিকের নেতৃত্বে তার ভাড়া নেওয়া হোটেলে পতিতাবৃত্তিদের দিয়ে এই সব হোটেলে অনৈতিক কর্মকান্ড পরিচালান করাসহ জুয়ার কোট পরিচালনা করার অভিযোগ উঠেছে।অভিযোগ আছে বরিশাল মহানগর ডিবির ইন্সপেক্টর ছগিরের প্রভাব খাটিয়ে মানিক তার হোটেলে প্রতিনিয়িত জুয়ার কোট বসিয়ে মোটা অঙ্কের টাকা আদায় করছেন।
সাধারন মানুষের মনে বাসা বেঁধেছে এই মানিক কয়েকদিন আগে বরিশালের গালিব হোটেলে বয় হিসাবে কাজ করেছেন এখন তার নিয়ন্ত্রনে বরিশালের প্রান কেন্দ্রের মত জায়গায় চারটি হোটেল এত টাকা সে কিভাবে কোথা থেকে পেলেন?
খোঁজ নিয়ে ও বিশ্বস্ত সূত্রে জানাযায় মানিক একাই না বরিশালের কয়েকজন পুলিশের অসাধু কর্মকর্তার অবৈধ আয়ের কালো টাকা সাদা করার জন্য হোটেল ব্যবসায় জড়িত হয়েছেন।যেটা বিষদ তদন্ত করলে বেড়িয়ে আসবে।তবে হোটেল সামসে থাকা ম্যানেজার রুবেল বলেন ডিবির ইন্সপেক্টর ছগির হোসেন মানিকের সাথে হোটেল ব্যবসায়ী পার্টনার হিসাবে আছেন।কিন্তু মানিক বলেন ছগির তার আপন খালাতো ভাই হয় তার ব্যবসায় সাপোর্ট দেয় আর কিছু না।তবে ডিবির ছগির বলেন মানিক আমার কিছু হয় না তার সাথে ভালো সম্পর্ক এর বেশী কিছু না।তবে স্বার্থের কাছে আজ তাদের খালতো ভাই সম্পর্কের টানাপোরন দেখা দিয়েছে।
অভিযোগ আছে মানিক তার খালাতো ভাই ছগিরকে পার্টনার করে হোটেলে তার ছেলে আশিকের মাধ্যমে পতিতাদের দিয়ে প্রতিনিয়ত হোটেল ব্যবসা করে যাচ্ছে যা ছগির শেল্টার দিচ্ছে।পুলিশ পরিচত হোটেল হওয়ায় প্রশাসন কখনো মানিকের হোটেলে অভিযান পরিচালনা করেনি।
তবে হোটেলে পতিতা ও জুয়ার আসর বসিয়ে ব্যবসায় বিষয়ে জানতে চাইলে মানিক বলেন আমি দীর্ঘ ৩৫ বছর বরিশালের হোটেলের সাথে জড়িত আমার কিছু টাকা আছে আর সব টাকা পার্টনাদের তবে পার্টনার কারা তা বলেন নি।মহানগর ডিবির ইন্সপেক্টর ছগিরের বিষয়ে জানতে চাইলে বলেন তার সাথে আমার ভালো সম্পর্ক আছে।আর চারটি হোটেলের এডভান্স দেওয়ার বিষয়ে এত টাকার উৎস কি জানতে চাইলে বলেন আমি আপনার পত্রিকার সম্পাদকের সাথে কথা বলতেছি বলে ফোন কেটে দিয়ে নিউজ না করার জন্য বিভিন্ন পন্থায় তদ্ববির করে।