• ১৭ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ৪ঠা ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বরিশাল নগরীতে মহাসড়কের ওপর নির্মিত পাক অপসারণে নগর ভবনকে সড়ক অধিদপ্তরের চিঠি

দখিনের বার্তা
প্রকাশিত জানুয়ারি ১১, ২০২৫, ১২:৫৪ অপরাহ্ণ
বরিশাল নগরীতে মহাসড়কের ওপর নির্মিত পাক অপসারণে নগর ভবনকে সড়ক অধিদপ্তরের চিঠি
সংবাদটি শেয়ার করুন....

ইজারাদার দ্বিতল অবকাঠামোর উপরিকাঠামোর কাজ শুরু করল

messenger sharing button
facebook sharing button
whatsapp sharing button
copy sharing button
sharethis sharing button

সড়ক অধিদপ্তরের ৮নম্বর জাতীয় মহাসড়কের জমি দখল করে নির্মিত বরিশাল সিটি করপোরেশনের বেআইনী পার্কটি অপসারণে সড়ক বিভাগ থেকে নগর ভবনকে চিঠির কোন জবাব না দিয়ে পার্ক সংলগ্ন নির্মিত অবৈধ ভবনটির ইজারাদার তার কাজ শুরু করেছে। অথচ নগর জীবনকে সুশৃংখল রাখা সহ সুস্থ নগর জীবন নিশ্চিত করাই নগর ভবনের অন্যতম দায়িত্ব বলে তার নাগরিক সনদে উল্লেখ রয়েছে। সাবেক নগর পরিষদ নগরীর নবগ্রাম রোড-চৌমহনীর উত্তর পাশে বরিশাল-ফরিদপুর-ঢাকা ৮ নম্বর জাতীয় মহাসড়কের জমিদখল করে মূল ‘ক্যরেজ ওয়ে’ ঘেষে একটি শিশু পার্ক নির্মাণ করে। সাবেক মেয়রের মায়ের নমে গড়ে তোলা প্রায় ১৬ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এ শিশু পার্কটি নিয়ে শুরু থেকেই এলাকাবাসীর ক্ষোভের শেষ ছিলনা । পার্কটি নির্মাণ করতে গিয়ে সাবেক নগর পরিষদ এলাকার সর্বসাধারণের চলাচলের শতাধিক বছরের পুরনো একটি রাস্তা পর্যন্ত বন্ধ করে দিয়েছেন।
গত ৫ আগষ্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুথানের পরে সাধারণ মানষি এ পার্কটি অনেকটাই গুড়িয়ে দিয়েছেন। সাবেক দুই মেয়রই তখন বরিশাল থেকে নিরাপদ প্রস্থানে সক্ষম হন। পরবর্তীতে বিভাগীয় কমিশনারকে বরিশাল সিটি করপোরেশনের প্রশাসকের দায়িত্ব দেয়া হলেও অনেক অমিমাংসিত বিষয়ে বর্তমান নগর পরিষদ এখনো কোন ভূমিকা রাখছেন না।

 

একটি জাতীয় মহাসড়কের জমি দখল করে সম্পূর্ণ বেআইনীভাবে নির্মিত এ পার্কটি নিয়ে জনমনে ব্যাপক ক্ষোভ থাকলেও বর্তমান নগর প্রশাসন তাকে খুব আমলে নিচ্ছেন না বলে অভিযোগ রয়েছে। এমনকি অবৈধ পার্কটি অপসারণ করে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের জমি দখল মুক্ত করতে বরিশাল সড়ক বিভাগ থেকে সিটি করপোরেশনকে চিঠি দেয়ার পরে তার কোন জবাব পর্যন্ত দেয়া হয়নি। উপরন্তু সড়ক অধিদপ্তরের চিঠি দেয়ার পরে নগর ভবনের ইজারাদার পার্কটির উত্তর প্রান্তে নির্মিত একটি দ্বিতল অবকাঠামোর উপরীকাঠামোর কাজ করেছে। অথচ ঐ জমিটিও সড়ক অধিদপ্তরের।

 

বিষয়টি নিয়ে বরিশাল সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে আলাপ করা হলে পার্কটি অপসারণে সড়ক অধিদপ্তরের চিঠি পাবার বিষয়টি স্বীকার করে এ ব্যপারে নগর ভবনের কিছু করণীয় নেই বলে জানান। নগর ভবনের এ মনোভাবের কথা মৌখিকভাবে সড়ক বিভাগকে অবহিত করা হয়েছে বলেও জানান তিনি। পাশাপাশি পার্কটির দক্ষিণ প্রান্তে সড়ক অধিদপ্তরের জমির ওপরই নির্মিত দ্বিতল অবকাঠামোটি সাবেক মেয়রের কাছ থেকে লীজ গ্রহিতা উপরিকাঠামোর কাজ শুরু করেছে বলে স্বীকার করেন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা। তবে সরকারের অপর একটি প্রতিষ্ঠানের জমিতে সিটি করপোরেশনের পার্ক ও ভবন নির্মানের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন করলে নগর ভবনের এ প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কোন মন্তব্য করতে রাজী হননি।