• ২৪শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ১১ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নির্ধারিত এলাকার বাইরে অভিযান, পুলিশের সেই এএসআই বহিষ্কার

দখিনের বার্তা
প্রকাশিত এপ্রিল ৯, ২০২৫, ২০:০৬ অপরাহ্ণ
নির্ধারিত এলাকার বাইরে অভিযান, পুলিশের সেই এএসআই বহিষ্কার
সংবাদটি শেয়ার করুন....

নির্ধারিত এলাকার বাইরে অভিযান চালিয়ে মাদকসহ নারীকে আটক করে ছেড়ে দেন বরিশাল নগর গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) আউয়াল। তবে অভিযুক্তকে ছেড়ে দেয়ার আগে তার কাছে থাকা বিপুল ইয়াবা ও নগদ ৭৪ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেন আউয়াল— এমন অভিযোগে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

ঘটনার সূত্রপাত ২৬ মার্চ, যখন আউয়াল নিজ দায়িত্বপত্র ছাড়া গৌরনদী উপজেলায় অভিযান চালান। সেখান থেকে মাদক ব্যবসায়ী মিজানের স্ত্রীকে বিপুল ইয়াবাসহ আটক করেন তিনি। পরে মাদক ও নগদ টাকা রেখে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়। স্বামী মিজান এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দেন বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের (বিএমপি) কমিশনার শফিকুল ইসলামের কাছে। এরপর নগর গোয়েন্দা শাখার ইন্সপেক্টর ছগিরও পৃথকভাবে অভিযোগ করেন আউয়ালের বিরুদ্ধে। তদন্ত করেন সহকারী পুলিশ কমিশনার রিয়াজ হোসেন।

তদন্তে অভিযোগের সত্যতা মিললে ৬ এপ্রিল আউয়ালকে বরিশাল পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। বিষয়টি ৯ এপ্রিল নিশ্চিত করেন বিএমপি কমিশনার শফিকুল ইসলাম। তিনি জানান, আউয়ালের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত চলমান আছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।

তথ্য অনুযায়ী, চাকরি জীবনের শুরুতে কনস্টেবল পদে যোগ দিয়ে দীর্ঘদিন বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশে কর্মরত ছিলেন আউয়াল। এই সময়ে নগরীর নবগ্রাম রোডে কোটি টাকার দুটি প্লটসহ একাধিক সম্পত্তির মালিক হয়েছেন তিনি। স্ত্রীর নামে রয়েছে মোটা অঙ্কের অর্থ ও সম্পদ। এমনকি বরগুনার গ্রামে কিনেছেন একাধিক একর জমি, যার বেশিরভাগই নামসর্বস্ব।

অভিযোগ রয়েছে, আউয়াল মাদকবাহীদের আটক করেও মামলা না দিয়ে মোটা অঙ্কের ঘুষে ছেড়ে দিতেন এবং উদ্ধার করা মাদক গোপনে বিক্রি করতেন। এ বিষয়ে জানতে তার মোবাইল ফোনে কল দিলে সাংবাদিক পরিচয় শুনেই সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেন তিনি।