বরিশালে আ’লীগ নেতার অনুসারীর চাঁদা আদায় প্রতিবাদে শিক্ষার্থীকে হেনস্তার অভিযোগ
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ-বরিশালে প্রকাশ্যে চাঁদাবাজি প্রতিবাদে হেনেস্তার শিকার হয়েছেন বরিশাল সরকারি ব্রজমোহন (বিএম) কলেজের বনমালী গাঙ্গুলি হোস্টেলের এক ছাত্রী।তিনি চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে সৈকত শিকদার নামে ঐ ব্যাক্তি তার রিকশা আটকে বাজে ভাষায় গালিগালাজ শুরু করেন এবং হুমকি দেন। ছাত্রীটি ফেইচবুকের এক স্ট্যাটাসে লিখেন,তিনি বাজারে গেলে এক ব্যক্তি চাঁদা দাবি করেন। “আমি বলি আমরা কখনোই চাঁদা দেই না ভাইয়া — এই কথার পরই সে আমার সঙ্গে অশালীন আচরণ করে এবং রিকশা থামিয়ে দেয়।পরে আমি বিএম কলেজের কামরুল ভাইকে ফোন দিই।”“উনি নানা রকম আজেবাজে কথা বলতে থাকেন, টাকা না দিলে আমাকে ভিক্ষা চাইবে বা ক্ষমা চাইবে বলেও অপমান করেন। আমি তার আচরণের ভিডিও করি। এরপর সে উল্টো আমার ভিডিও করতে শুরু করে এবং বলে— ৫ তারিখের পরে স্টুডেন্টরা যা তা করে বেরায়, দেশটা কি ওরা কিনে নিয়েছে নাকি— এমন কথায় গালিগালাজ চালায়।”ঐ শিক্ষার্থী সোশ্যাল মিডিয়াতে পোস্ট করলে মূহুর্তে পোস্টটি ভাইরাল হয়ে যায় সেখানে ছাত্ররা উপস্থিত হয়ে বিএম কলেজের ছাত্রসহ কয়েকজন শিক্ষার্থী পৌঁছান। তারা ঐ ব্যক্তির লাইসেন্স ও কাগজপত্র দেখতে চাইলে সে কিছুই দেখাতে পারেনি। পরে নিজেকে ‘কর্তৃপক্ষ আনতে হবে’ বলে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় সৈকত।কিছুক্ষণ পর ঐ ব্যক্তির বাবা ঘটনাস্থলে এসে ক্ষমা চান। তবে ভুক্তভোগী ছাত্রী জানান, “আমি তা মেনে নেইনি। আমি চাই, তার ছেলে ও যারা এই চাঁদা আদায় করে তাদের সবাইকে সামনে এনে বিচার করা হোক।”
এমনই ঘটনা ঘটেছে বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের আওয়াতাধীন বরিশাল সিটি মার্কেট সামনে। চাঁদা আদায়ে সময়ে রাস্তার গাড়ি থেকে চাঁদা আদায় করছে।সেখানে দেখা যায় ফ্যাসিস্ট আ’লীগ সরকারের অনুসারী সাইফ ও তার পিতা কাজল সিকদার চাঁদা আদায় করতেছে।তারা বিগত সরকারের সময় বরিশাল মহানগর আ’লীগ শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক উপদেষ্টা নিরব হোসেন টুটুল এর অনুসারী ছিলেন কাজল ও তার ছেলে সাইফ বরিশাল-ঢাকা লঞ্চ ঘাটে নিরব হোসেনের হয়ে ইজারা আদায় করতেন।তবে ফ্যাসিস্ট আমলে ধারা অব্যাহত রেখে এখনো বরিশালের সিটি মার্কেটের কাচা বাজার থেকে সবজি ক্রয় করে নিয়ে যাওয়ার সময় প্রত্যেক গাড়িতে দিতে হয় চাঁদা আর সেই চাঁদা না দিলে কাজলের ছেলে সাইফের রোষানলে পরতে হয়।
উক্ত বিষয়ে জানার জন্য মুঠোফোনে বেশ কয়েকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলে ফোন রিসিভ না করায় কাজল ও তার ছেলের কোন বক্তব্য পাওয়া যায় নি।
স্থানীয় ব্যবসায়ী ও শিক্ষার্থীদের দাবি, ওই এলাকায় দীর্ঘদিন ধরেই বাজারে আসা ক্রেতা-বিক্রেতাদের কাছ থেকে অনিয়মিতভাবে টাকা আদায়ের অভিযোগ রয়েছে।