• ২৪শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ১১ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গৌরনদীতে প্রবাসীর স্ত্রীকে বাগিয়ে নিলেন শ্রমিকদল নেতা

দখিনের বার্তা
প্রকাশিত এপ্রিল ৪, ২০২৫, ১৬:৩৫ অপরাহ্ণ
গৌরনদীতে প্রবাসীর স্ত্রীকে বাগিয়ে নিলেন শ্রমিকদল নেতা
সংবাদটি শেয়ার করুন....

গৌরনদী (বরিশাল) প্রতিনিধি ॥ বরিশালের গৌরনদীতে দুই সন্তানের জননী প্রবাসী স্ত্রীকে বাগিয়ে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে এক শ্রমিকদল নেতার বিরুদ্ধে। এঘটনায় স্ত্রীসহ শ্রমিকদল নেতার বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন প্রবাসী। ঘটনাটি উপজেলার নন্দনপট্টি গ্রামের।
ওই গ্রামের বাসিন্দা ও কাতার ফেরত প্রবাসী নুরুজ্জামান সরদার অভিযোগ করে বলেন, ২০০৭ সালে আমি কাতারে প্রবাস জীবনে পারি দেই। ২০০৯ সালে ছুটিতে এসে একই উপজেলার বড় দুলালী গ্রামের রতন খা’র মেয়ে আরজু আক্তারের সাথে আমার পারিবারিক ভাবে বিয়ে হয়। দাম্পত্য জীবনে আমাদের দুইটি সন্তান রয়েছে। বিয়ের পর প্রবাসে যাওয়া আসার মধ্যেই ছিলাম। বিদেশ থেকেই জানতে পারি আমার স্ত্রী রেজাউল নামের এক যুবকের সাথে পরকীয়ায় লিপ্ত হয়েছে। মুঠোফোনে এবিষয়ে তাকে জিজ্ঞেস করলে অস্বীকার করতো। সম্প্রতি আমি কাতার থেকে দেশে চলে আসি। আমার স্ত্রী টরকী এলাকায় ভাড়া বাসা নিয়ে থাকতো। আমি দেশে চলে আসার পর স্ত্রী আমার সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে বাবার বাড়ি চলে যায়। পরবর্তীতে জানতে পারি শ্রমিকদল নেতা রেজাউল আমার স্ত্রীকে বাগিয়ে নিয়ে বিয়ে করেছে।
কান্নাজড়িত কন্ঠে নুরুজ্জামান অভিযোগ করে আরও বলেন, জীবনের যত উপার্জন করেছি তা স্ত্রীর কাছে পাঠিয়েছি। সাংসারিক খরচ বাদ দিয়ে স্ত্রীর কাছে কমপক্ষে ২৫ লাখ টাকা পাঠিয়েছি এবং ৬ ভরি স্বর্নালংকার দিয়েছি। প্রবাস জীবনের কষ্টার্জিত সেই টাকা-স্বর্নালংকার পরকীয়া প্রেমিক নিয়ে আত্মসাৎ করেছে আমার স্ত্রী। এজন্য আমার স্ত্রী, শশুর ও পরকীয়া প্রেমিক রেজাউলের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। কিন্তু থানায় লিখিত অভিযোগ দেওয়ার পর রেজাউল দলীয় ভয় দেখিয়ে আমাকে অভিযোগ উত্তোলন করার জন্য ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। এবিষয়ে অভিযুক্ত শ্রমিকদল নেতার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য বিএনপি নেতাদের প্রতি আহবান জানিয়েছেন ঘটনার শিকার প্রবাসী নুরুজ্জামান।
অভিযোগ অস্বীকার করে উপজেলা শ্রমিকদলের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম বলেন, টাকা আত্মসাৎ কিংবা হুমকিধামকির যে অভিযোগ আনা হয়েছে তার কোন ভিত্তি নেই। আরজু তার স্বামীকে ডিভোর্স দেওয়ার সাড়ে চারমাস পর আমরা পারিবারিক ভাবে বিয়ে করেছি। আমাকে রাজনৈতিক ভাবে হয়রানির জন্য মিথ্যে ছড়ানো হচ্ছে। গৌরনদী মডেল থানার ওসি মো. ইউনুস মিয়া বলেন, অভিযোগের তদন্ত শেষে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।